শনিবার (০৪ মার্চ) দিনগত মধ্যরাতে মামলা দু’টি দায়ের করা হয়।
পুলিশের পক্ষে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জিএম আসলাম বাদী হয়ে ৩/৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড় সহস্রাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটি (নং-৫(৩)’১৭) দায়ের করেন।
এছাড়া আরেকটি মামলা দায়ের করেন উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের মোস্তফানগর গ্রামের বাসিন্দা, ডাকাতদের হাতে নিহত জিলু মিয়ার (৫৫) বড় ছেলে জুয়েল আহমদ। এ মামলায় সোনাই ডাকাত ও আব্দুল খালেকসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি (নং-৪(৩)’১৭) দায়ের করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, জিলু মিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সোনাই ও আব্দুল খালেককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তবে পুলিশের মামলায় দেড় সহস্রাধিক লোকজনকে আসামি করা হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলতাফ হোসেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, বলেন তিনি।
শনিবার ভোরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ডাকাতদের হাতে এক গৃহকর্তা খুন হন। ডাকাতির ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক ডাকাতকে ছাড়িয়ে আনার জের ধরে পুলিশ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আরও একজন নিহত এবং ১৫ পুলিশসহ অন্তত দেড় শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে।
ডাকাতের হাতে নিহত জিলু মিয়া (৫৫) পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের মোস্তফা নগর গ্রামের বাসিন্দা। অপর নিহত হলেন দক্ষিণ রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা মফিজ মিয়া (৫০)।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৭
এনইউ/জেডএস