রোববার (০৫ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে 'মিট দ্য রিপোর্টার্স' অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, 'তিস্তার পানিবণ্টন ও পদ্মা ব্যারেজ প্রকল্প --এদুটোই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংহ ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিস্তার (পানিবণ্টনচুক্তি) বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'এ নিয়ে কাজ চলছে। তিস্তার পানিবণ্টনে নদীর প্রবাহ ঠিক রেখে বাকিটুকু দুই দেশ ভাগ করে নেবে। তবে দুই দেশ কে কতো শতাংশ পানি নেবে তা এখনও ঠিক হয়নি। '
আনিসুল ইসলাম বলেন, 'গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারতের সহযোগিতা দরকার হবে। কারণ এ ব্যারেজ যেখানে হবে সেখানে ভারতের একচতুর্থাংশ নদী রয়েছে। '
তিনি বলেন, 'তিস্তা ব্যারেজে যেটুকু পানি থাকে তা দিয়ে মাত্র দেড় লাখ হেক্টর জমির আবাদ হচ্ছে। কিন্তু জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সংরক্ষিত পানি দিয়ে আরো সাড়ে তিন লাখ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হলেও তা হচ্ছে না। '
'দেশের নদীভাঙন রোধ করাই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার'--একথা উল্লেখ করে পানিমন্ত্রী দাবি করেন, 'এখাতে বোল্ডার বসানোর ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হতো তার ৯৫ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে। '
ড্রেজিং করে নদীর বালু বিদেশে রফতানি করে কাজের খরচের টাকা তোলা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের কাছ থেকে বালু কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। '
ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সারাদেশের নদীগুলোর দূষণ রোধে নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন আনিসুল ইসলাম।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা মার্চ ০৫, ২০১৭/আপডেট ১৪১৭ ঘণ্টা
কেজেড/বিএস/জেএম