এ সিদ্ধান্ত স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের। রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, কোনো স্বাধীনতাবিরোধী ও বিতর্কিত মানুষ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি হতে পারবে না বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া জাতীয় পতাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং পতাকার অপব্যবহার রোধেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় পতাকার যথাযথ মাপ, রং, উত্তোলন ও নামানোর সময় নির্ধারণ করে জাতিকে জানিয়ে দেবে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ও সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধের সার্বিক নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন। ঢাকা থেকে সাভারের সড়কে কোনো তোরণ নির্মাণ করা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশি কূটনীতিক ও নাগরিকদের বিশেষ নিরাপত্তা স্কোয়াডের মাধ্যমে স্মৃতিসৌধে নিয়ে যাওয়া হবে। অনুষ্ঠান শেষে পৌঁছেও দেওয়া হবে। নৌপথে থাকবে নৌ-পুলিশের বিশেষ টহল। জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে জেলা পুলিশ ও বিভাগীয় কমিশনারদের তত্ত্বাবধানে বিশেষ ব্যবস্থা জারি থাকবে।
এ সময় তিনদিনের সরকারি ছুটি থাকায় ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতে পর্যটকের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, এজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ সারাদেশেই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, বঙ্গভবন, ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও স্মৃতিসৌধে থাকবে বাড়তি নজর। ৠাব, পুলিশ, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে।
তিনি বলেন, এ অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। আজকের পর আরো বৈঠক প্রয়োজন হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এক বা একধিক বৈঠক করে বিষয়টি সমন্বয় করতে পারবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ঢাকাসহ সারাদেশের সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার সৌন্দর্যবর্ধন এবং বিশেষ পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নেবে। ওয়াসা তাদের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা হালনাগাদ করে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখবে। ফায়ার ব্রিগেড দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও উদ্ধারের কাজে প্রস্তুত থাকবে এবং তাদের অ্যাম্বুলেন্স স্বাস্থ্য বিভাগের অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে সমন্বয় করে জরুরি প্রয়োজনের জন্য প্রস্তুত থাকবে।
মন্ত্রী জানান, এ দিনে সারাদেশ পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোল রুমের আওতাধীন থাকবে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কন্ট্রোল রুম পরিচালনা করবে মেট্রোপলিটন পুলিশ ও বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার যৌথভাবে। জেলা পর্যায়ে পুলিশ সুপার এবং উপজেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপাররা দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৭/আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা
আরএম/জেডএস/জেডএম