রোববার (০৫ মার্চ) যুক্তিতর্ক শেষে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা মামলাটির রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন ৮ মার্চ।
আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যুক্তিতর্কের সময় মামলার একমাত্র আসামি ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা বদরুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ৮ নভেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) শাহপরাণ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করা হয়। এরপর ২৯ নভেম্বর এ মামলার একমাত্র আসামি বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালতে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর ১৫ ডিসেম্বর বদরুলকে সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরুর আদালতে হাজির করা হয়। এদিন সাক্ষ্য দেন স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এএম রেজাউস সাত্তার।
১১ ডিসেম্বর আদালতে সাক্ষী দেন নার্গিসের মা-বাবা, বদরুলের জবানবন্দি গ্রহণকারী বিচারক ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৫ জন। এরআগে ০৫ ডিসেম্বর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার ১৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নার্গিস। সেখান থেকে বেলা ২টায় বাড়িতে পৌঁছান। ২৬ ফেব্রুয়ারি সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম বিচারক সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতের সাক্ষ্য দেন খাদিজা বেগম নার্গিস।
এদিন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আলোচিত নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলায় ভিকটিম নার্গিসের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় ৩৭ জনের মধ্যে ৩৪ সাক্ষী আমরা আদালতে উপস্থাপন করতে পেরেছি।
বুধবার (০১ মার্চ) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পরিবর্তন করে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে পাঠানো হয়। এদিন মহানগর মুখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো আলোচিত খাদিজা বেগম নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ৫ মার্চ দিন ধার্য্য ছিল। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মহানগর আদালতে মামলাটি পাঠানোর নির্দেশনা দেন।
গত ০৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিস এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর ক্যাম্পাসে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন বখাটে বদরুল। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র এবং শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
হামলার পর বর্বর হামলার ভিডিও আকারে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে দেশে বিদেশে তোলপাড় শুর হয়। বদরুলের বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
অপরদিকে, গুরুতর অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে ঢাকাস্থ স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পক্ষঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) এখনও তার চিকিৎসা হয় চলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৭
এনইউ/এসএইচ