রোববার (৫ মার্চ) দুপুর ১২টায় শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বৃষ্টি শরীয়তপুর পৌরসভার ধানুকা এলাকার হাশেম বেপারীর মেয়ে।
বৃষ্টির চাচা কাশেম বেপারী বাংলানিউজকে জানান, ছয় মাস আগে ধানুকা এলাকার রাজ্জাক সরদারের ছেলে রফিক সরদারের সঙ্গে বৃষ্টির বিয়ে হয়। বিয়ের পর বৃষ্টি বাবার বাড়িতে থেকেই লেখাপড়া চালিয়ে আসছিল। দুই সপ্তাহ আগে বৃষ্টির শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে বৃষ্টিকে নিয়ে যায়।
এরপর রোববার দুপুরে রফিক ফোনে জানায় বৃষ্টি ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখেছে। খবর পয়ে তার বাবা হাশেম বেপারী গিয়ে দেখেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন বৃষ্টির মাথায় পানি ঢালছেন। পরে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃষ্টির পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে।
পালং মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রফিককে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৭
এনটি/আরএ