ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পত্রিকা অফিসের নিজস্ব নীতিমালা থাকতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৭
পত্রিকা অফিসের নিজস্ব নীতিমালা থাকতে হবে নারী পুরুষের বৈষম্যহীন গণমাধ্যম চাই শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী/ছবি: রানা

ঢাকা: সরকারি নীতিমালার পাশাপাশি প্রতিটি পত্রিকা অফিসের নিজস্ব নীতিমালা থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

রোববার (০৫ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘নারী পুরুষের বৈষম্যহীন গণমাধ্যম চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকারিভাবে নীতিমালা হচ্ছে।

তবে প্রতিটি পত্রিকা অফিসে সাংবাদিকদের কোন নীতি মেনে চাকরিতে যোগদান করানো হচ্ছে, কোন স্কেলে বেতন দেওয়া হচ্ছে, কোন ক্ষমতাবলে ও কী কারণে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট ও স্পষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে। সরকারি নীতিমালার পাশাপাশি প্রতিটি পত্রিকা অফিসেরও নিজস্ব নীতিমালা থাকতে হবে।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর উচিত কোন কোন অফিস নীতিমালা অনুসরণ করছে তা দেখভাল করা। প্রতিবছর বছরই সেটা দেখভাল করে তথ্য মন্ত্রণালয়কে রিপোর্ট করা। এসব নিয়ম পালন ছাড়া কোনো ক্ষেত্রেই দেশে টেকসই উন্নয়ন হবে না।

নারীদের আগের তুলনায় গণমাধ্যমে কাজ করার বেশি সুযোগ তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে অনেক কাজ করেছি, বিশেষ করে গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের বিষয়ে অনেক কাজ করছি। ইতোমধ্যে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ রয়েছে। সেখানে প্রচুর মেয়েরা লেখাপড়া করছে। সরকারিভাবেও নারী-পুরুষ সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র তৈরির আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, গণামাধ্যমে যেন এক তৃতীয়াংশ নারী কাজের সুযোগ পায় সে বিষয়ে অনেক আগে থেকেই আমরা বলে আসছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অফিসই সেটা মানছে না। আবার নারীর প্রতি সহিংসতা রোধেও একটি কমিটি কথার কথা এবং প্রতিটি অফিসে শিশুযত্ম কেন্দ্র করার কথা থাকলেও সেটা কেউ করছে না বলেই আমরা জানি। ফলে নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র আইন থাকলেও, সেটা যদি কেউ বাস্তবায়ন না করে তাহলে কোনো ফলই আসবে না।

তিনি আরও বলেন, নারী ও পুরুষ সাংবাদিকদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে হবে। আর তা দূর করতে হলে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে সাংবাদিকদেরই। এছাড়া সংবাদ পত্রিকার মালিকদেরও অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনারা নিজস্ব নিতীমালা তৈরি করুন, যৌন হয়রানি বিষয়ক কমিটি করুন, নারীর যাতায়াতের নিরাপত্তার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করুন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে এবং  ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৭
এমএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।