সূত্রমতে, তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাম আলী মোল্লা এ চার্জশিট অনুমোদনের সুপারিশ করেছেন। মিসেস জেলী বেগম ও তার স্বামী বসির উদ্দিন এবং সাবেক সহকারী কমিশনার (পত্তন) আশরাফ আলম খানের যোগসাজসে ওই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মিসেস জেলী বেগমের স্বামী বসিরউদ্দিন ১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর জনৈক শেখ মানিকের কাছ থেকে মিরপুর হাউজিং এস্টেটের সেকশন-১, ব্লক-এ, ২২ নং বাড়ি কেনেন। তারপর ওই বাড়ি লাগোয়া প্রায় পৌনে ২ কাঠা সরকারি জমি নিজের নামে বরাদ্দের আবেদন করেন।
কিন্তু ওই জমি বরাদ্দ পেতে ব্যর্থ হয়ে স্ত্রী রেবেকা বেগমের প্রকৃত নাম ও নিজের নাম গোপন করে ডাকনাম জেলী বেগম ব্যবহার করে তাকে এল.এ কেসে ক্ষতিগ্রস্ত হিসাবে উপস্থাপন করেন বসির উদ্দিন। যার স্মারক নং ১৯৭৯ সালের ১২ নভেম্বর ৬০৪৮/ডি.সি.এস মারফত প্লট নং ২২/১,রোড নং ৯, ব্লক-এ, সেকশন-১ মিরপুর, ঢাকা।
শুধু তাই নয়, মিথ্যা হলফ নামা দিয়ে বরাদ্দপত্রের বিপরীতে ১৯৮৯ সালের ১৫ জানুয়ারি সাজ/১৫ নং চালানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে এ প্লটের মূল্য বাবদ ৯,৭২০ টাকা জমাও দেন জেলী ও বসির।
জেলী বেগম এরপর ১৯৮৯ সালের ২৭ জুলাই এক আবেদনে সহকারী কমিশনার (পত্তন) বরাবরে ওই প্লটের দখল বুঝিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। সহকারী সেটেলমেন্টের ইস্যু রেজিস্ট্রার পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই বরাদ্দপত্র ওই দপ্তর থেকে ইস্যুই করা হয়নি। ভূয়া বরাদ্দপত্রের ভিত্তিতে প্লট নং ২২/১, রোড নং-৯, ব্লক-এ, সেকশন-১, মিরপুর, ঢাকার সরকারি জমি ভুয়া বরাদ্দপত্রের ভিত্তিতে রেজিস্ট্রি করে নিজ নামে দাবি করেন জেলী।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯৯৪ সালের ৩১ অক্টোবর মিরপুর থানায় দুদকের বর্তমান পরিচালক নিরু শামসুন্নাহার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৮৫।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৭
এসজে/জেডএম/