রোববার (৫ মার্চ) বিকেলে মামলা দায়ের করার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সোনাগাজী মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের মধ্যম আহম্মদপুর গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের বাতানিয়া বাড়ির গৃহবধূ আয়েশা খাতুনকে হত্যার অভিযোগে নিহতের মা রফিকুননেছা বাদী হয়ে রোববার নিহতের স্বামী মো. ফজলে আজিম, শ্বশুর মো. ইলিয়াছ, দেবর মাইনুল ইসলাম রিফাত ও শাশুড়ি রোজিনা খাতুনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, তিন বছর আগে উপজেলার আমিরবাদ ইউনিয়নের মধ্যম আহম্মদপুর গ্রামের মো. ইলিয়াছের ছেলে চা দোকানী মো. ফজলে আজিম শামীমের সঙ্গে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের তাজুল হোসেনের মেয়ে আয়েশার বিয়ে হয়। তাদের দু’বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
কয়েক মাস ধরে আয়েশার দেবর স্থানীয় সন্ত্রাসী মাইনুল ইসলাম রিফাত আয়েশাকে কু প্রস্তাব দিয়ে যৌন হয়রানি করতে থাকে। আয়েশা প্রতিবাদ করলে ছেলের পক্ষ নিয়ে তার শাশুড়ি ও দেবর তাকে মারধর করত।
এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছিল। আয়েশার পরিবারের সদস্যরা আরো অভিযোগ করেন, শনিবার বিকেলে দেবর রিফাত পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আয়েশাকে হত্যা করে মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরে শ্বশুর এসে মরদেহ নামিয়ে ফেলে।
শনিবার রাতে খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির নিহতের স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূর মা রফিকুননেছা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এর পর দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাটি রহস্যজনক। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এছাড়া যৌন হয়রানি হয়েছে কিনা সেটাও ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ০৫ মার্চ, ২০১৭
আরএ