৩১ ডিসেম্বর হত্যাকাণ্ডের দিন চন্দন কুমার সরকার এমপি লিটনের বাড়ির উঠানে গাবগাছের নিচেই ছিলেন। সেখান থেকেই চার কিলারকে লিটন এবং তার পরিবারের অবস্থান জানান তিনি।
এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডে নতুন করে দায় স্বীকার করা ছামছুজ্জোহা সরকার ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, এমপি লিটনের সঙ্গে চন্দন কুমারের একসময় বেশ সখত্য ছিল। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বিবাদ দেখা দিলে লিটন চন্দন কুমারকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। এরপর আব্দুল কাদের খাঁন চন্দন কুমারকে তার দলে নেওয়ার চেষ্টা চালান।
পরে ছামছুজ্জোহা আব্দুল কাদের খাঁনের সঙ্গে চন্দন কুমার সরকারের পরিচয় করিয়ে দেন। এছাড়া তার কথামতোই চন্দন আব্দুল কাদের খাঁনের সোর্স হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর হত্যা মিশন সফল করতে লিটনের অবস্থান সম্পর্কে সবসময় চন্দন কুমার সরকার কাদেরকে তথ্য দিতেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চন্দন কুমার সরকারকে ইন্টারপোলের (বহিঃবিশ্ব) মাধ্যমে দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তিনিও এ হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্তভাবে জড়িত।
চন্দন কুমার সরকার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব মনমথ গ্রামের সুশীল কুমার সরকারের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ০৫ মার্চ, ২০১৭
আরএ