রোববার (০৫ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার বিহার ইউনিয়নের সংসারদীঘি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওমর ফারুক ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
রাত পৌনে ১০টায় শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ এ খবর বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, উপজেলার বিহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম ও রায়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু সংসারদীঘি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু দীঘির লোকজন মাছ চাষে শর্ত পূরণ না করার অভিযোগ তুলে দুই চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এনিয়ে রোববার সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
একপর্যায়ে দুই চেয়ারম্যান কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের পক্ষের সমর্থকরা ওমর ফারুককে ছুরিকাঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, রাত সোয়া ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করেও চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম ও ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর পক্ষ থেকে এ ঘটনা সম্পর্কে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৭
এমবিএইচ/এএটি/