মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বামনপাড়া এলাকা থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহের উপস্থিতিতে মরদেহটি উত্তোলন করে পুলিশ।
এর আগে পঞ্চগড় জেলা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বি এম তরিকুল কবির মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন।
একই দিনে নিহত হওয়া শিশুটির মা জয়ন্তী রানীর মরদেহটি দাহ করে ফেলায় শিশুটির মরদেহটিই ময়নাতদন্ত করার জন্য আদেশ দেওয়া হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ বাংলানিউজকে জানান, আদালতের নির্দেশে শিশু নারায়ণের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আবার মরদেহটি যথাস্থানে সমাহিত করা হবে।
২৩ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের অমরখানা এলাকায় মা-সন্তানের নিহতের ঘটনায় জয়ন্তীর ছোট ভাই পরিমল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি তার স্বামী শীতেন্দ্র নাথসহ চারজনকে আসামি করে পঞ্চগড় আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশকে নথিভুক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশি তদন্তে হত্যার প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পায়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ময়নাতদন্তের জন্য শিশু নারায়ণের মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত ওই আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৭
আরবি/আরএ