মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার খাদঘর এলাকার মহাসড়কের পাশে বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়। ঢাকা থেকে বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করে।
এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত অধিক গতিসম্পন্ন গাড়ি চিহ্নিতকরণে চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকায় অভিযান চলছিল। ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির সার্জেন্ট কামাল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চলাকালীন বেলা সোয়া ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের অধিক গতি চিহ্নিত হয়।
পুলিশ গাড়িটি ধাওয়া করে থামানোর পর বাস থেকে নেমে আসা যাত্রীবেশী দুই যুবক পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। বোমাটি বিস্ফোরিত না হওয়ায় পুলিশ তাদের পেছনে ধাওয়া করলে, তারা বোমা ছোড়া অবস্থায় দৌঁড়ে একটি গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করে। ওই সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জসিমকে এবং আহত অবস্থায় হাসানকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি বোমা ও ১টি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।
আটক হওয়া হাসান চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে। জসিমের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গুলিবিদ্ধ জসিমকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসান পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৭
আরবি/আরএ