বুধবার (০৮ মার্চ) সকালে সিটিটিসি ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলায় জঙ্গিরা যে ধরনের গ্রেনেড ব্যবহার করেছিল, হাতে তৈরি একই ধরনের গ্রেনেড পাওয়া গেছে মিরসরাইয়ের আস্তানায়। এসব গ্রেনেড ওই আস্তানার ভেতরে ধ্বংস করা হবে।
তবে অভিযানের সময় ওই আস্তানায় আর কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মান্নান।
তিনি বলেন, হ্যান্ড গ্রেনেডের সংখ্যা আমরা এখনও উল্লেখ করতে পারছি না। সেগুলো ধ্বংসের আগে আরেকবার গণনা করা হবে।
সূত্রমতে, কুমিল্লায় আটক জঙ্গিদের একজন জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে তাদের আস্তানা পটিয়া পৌরসভা এলাকায় বলে জানিয়েছিল। এর ভিত্তিতে রাতেই সিটিটিসি ইউনিটের একটি টিম পটিয়ায় অভিযান চালায়। তবে সেখানে আস্তানার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এরপর জঙ্গিদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরসরাই পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোবানিয়া এলাকায় রিদওয়ান মঞ্জিলে অভিযান চালায়। ওই বাসার নিচতলায় আস্তানাটির সন্ধান পান সিটিটিসির সদস্যরা।
আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, মিরসরাইয়ের ওই আস্তানাতেই গ্রেনেডগুলো তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে আরও বিস্ফোরক মজুদ আছে।
জঙ্গিদের বড় ধরনের নাশকতার কোনো পরিকল্পনা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের পরই বিস্তারিত জানা যাবে।
এর আগে কুমিল্লার চান্দিনায় একটি চেকপোস্টে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশির সময় পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় জঙ্গিরা। এরপর সন্দেহভাজন দুই জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক দু’জন হল- জসিম (৩০) ও হাসান (৩২)।
এদের মধ্যে একজন পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত হয়। আরেকজনকে বোমা নিয়ে ধানক্ষেত দিয়ে পালানোর সময় আটক করে পুলিশ।
** মিরসরাইয়ে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭/আপডেট ১১৩১ ঘণ্টা
ডিএইচ/আরডিজি/টিসি/এসএইচ/জেএম