ঢাকা, রবিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

কর কমিশনার তাহের হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৭
কর কমিশনার তাহের হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি

ঢাকা: রামপুরা থানার কর কমিশনার আবু তাহের হত্যা মামলায় ৫ আসামির ফাঁসির ‍আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৮ মার্চ) ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহমান সরদার এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিহতের গাড়ি চালক বরিশাল জেলার বানারিপাড়া থানার আশুরাই গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে নাসির, উজিরপুর থানার বৈরকাঠি গ্রামের জাকির তালুকদারের ছেলে রাসেল, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার হরিরামপুর সাহাপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রুস্তম, পিরোজপুর জেলার ঝালকাঠি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে আমির হোসেন ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার ওজনচর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে সোহেল রানা।

আসামিদের মধ্যে রুস্তম পলাতক আছেন।

ফাঁসির দণ্ড ছাড়াও আরো দুই আসামি মাসুদ মিয়া ও নূর আলমকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং মোছা. সেলিনা ও নূরজাহান নামে দুই গৃহকর্মীকে ২ বছর করে কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারায় তাদের এ দণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৫ সালের ২ মার্চ রামপুরা থানাধীন ৩৪৭ টিভি রোডের বাসায় রাত ৩টার দিকে ডাকাতি করতে গিয়ে কর কমিশনার আবু তাহেরকে হত্যা করা হয়। ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী নিহতের গাড়ির ড্রাইভার নাসির। সে বাসার দুই গৃহকর্মীর সহায়তার অপর আসামিদের নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে তাহের ও তার স্ত্রীকে বেধে ফেলে।
এরপর তারা তাহেরের স্ত্রীর কাছে থেকে চাবি নিয়ে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় তারা তাহেরের কব্জির রগ কেটে দেয়। পরদিন সকালে খবর পেয়ে নিহতের ছেলে এটিএম আরিফুল হক বাসায় গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে এটিএম আরিফুল হক রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর পুলিশ ১০ আসামিকে গ্রেফতার করলে সাতজন খুনের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি নয় আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটের ৪৩ সাক্ষির মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজুর রহমান লিখন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন খন্দকার।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৭
এমআই/ওএইচ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।