বুধবার (০৮ মার্চ) দিনগত রাত ৯টার দিকে মিরসরাই থানায় মামলাটি দায়ের করেন কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহিদুল বাশার। মামলায় আটক জঙ্গি মাহমুদুল হাসান ও জসিমসহ তাদের আরো ৬ সহযোগীকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরসরাই থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন বাংলানিউজকে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার মামলাটি আদালতে যাবে এবং আসামিদের আদালতে হাজির করা হতে পারে। বাড়ির মালিক রিদওয়ানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনিও সন্দেহের বাইরে নয়-পুলিশ তাকে থানায় এনে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত অধিক গতিসম্পন্ন গাড়ি চিহ্নিতকরণে চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকায় অভিযান চলছিল। চলাকালীন বেলা সোয়া ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের অধিক গতি চিহ্নিত হয়। পুলিশ গাড়িটি ধাওয়া করে থামানোর পর বাস থেকে নেমে আসা যাত্রীবেশী দুই যুবক পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। বোমাটি বিস্ফোরিত না হওয়ায় পুলিশ তাদের পেছনে ধাওয়া করলে,তারা বোমা ছোড়া অবস্থায় দৌঁড়ে একটি গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করে। ওই সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জসিমকে এবং আহত অবস্থায় হাসানকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি বোমা ও ১টি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তির আলোকে মিরসরাইয়ের এ বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ০৮ মার্চ, ২০১৭
আরএ