জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০১৭ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ফাগুনে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে তাতে এ বছর ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বন্যার সময় দেখেছি মানুষ বাঁধের উপর গিয়ে আশ্রয় নেয়। বন্যাকে সহনশীল করার দীর্ঘমেয়াদী উপায় ও পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১৯টি বন্যা কবলিত জেলার ৬০ হাজার বসতবাড়ি উঁচু করা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রচুর সংখ্যক তালগাছ ও নারিকেল গাছ রোপণ করা হলে সেগুলো বজ্রনিরোধক দণ্ড হিসেবে কাজ করবে। এজন্য সরকারিভাবে সারা দেশে ১০ লাখ তালগাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে।
১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তৎকালীন পাকিস্তান সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছিল। কিন্তু এ টাকা ব্যয় করা হয়নি, তা এখনও করাচিতে রয়ে গেছে। এ টাকা ফেরত আনার বিষয়ে মোফাজ্জল হোসেনে চৌধুরী বলেন, কঠিন জায়গায় নিয়ে গেছেন। অনেক কিছু স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। শুধু এই টাকা নয়, অনেক টাকাই আমরা তাদের (পাকিস্তান) কাছে পাওনা আছি। এটা নিয়ে ইতোমধ্যে কথা বলা শুরু হয়েছে।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, এটা অবশ্যই আমাদের দাবি, আমরা চাইবো। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলবো। উনি কি ব্যবস্থা নেন, সেটা জেনে পরবর্তীতে জানাবো।
দুর্যোগে সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাৎক্ষণিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘এ’ গ্রেডের জেলায় ২ লাখ টন খাদ্যশস্য, ২ লাখ টাকা; ‘বি’ গ্রেডের জেলায় দেড় লাখ টন খাদ্যশস্য ও দেড় লাখ টাকা এবং ‘সি’ গ্রেড জেলায় একলাখ টন খাদ্যশস্য ও এক লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা আছে। যা জেলা প্রশাসকরা নিজেরাই ব্যবহার করতে পারবেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল বলেন, দুস্থ-অসহায় পরিবার, প্রতিবন্ধী বা ষাটোর্ধ্ব দরিদ্র মানুষ, যাদের সামর্থ্য নেই তাদের ঘরবাড়ি উঁচু করে দেওয়া হবে। এর ফলে বন্যার সময় তাদের বেড়িবাঁধ বা অন্যান্য স্থানে আশ্রয়ের জন্য ছুটতে হবে না।
উপকূলীয় ও বন্যা প্রবণ এলাকায় ৪০০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, মোট ৪০টি জেলায় প্রোগ্রাম ডিজাইন করে ৪০০টির মতো মুজিব কিল্লা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি আগামী জুনের মধ্যে এটা অনুমোদন দেবে একনেক।
রাজধানীতে চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর সর্বশেষ অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ৩২১টি ভবন চিহ্নিত করেছিলাম, যেগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন। অপসারণ করবে সিটি করপোরেশন আর কারিগরি পদক্ষেপ নেবে রাজউক। পূর্ত মন্ত্রণালয়কে আমরা চিঠি দিয়েছি, সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৭/আপ: ১৮২২
এমএন/ওএইচ/এএ