ঢাকা, সোমবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্গাপুরে কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় দুই ইউপি সদস্য আটক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৭
দুর্গাপুরে কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় দুই ইউপি সদস্য আটক দুর্গাপুরে কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় দুই ইউপি সদস্য আটক

রাজশাহী: রাজশাহীর দুর্গাপুরে গাছে বেঁধে দুই কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় দুই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের আন্দুয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব ও হাড়িয়াপাড়া গ্রামের আবদুল লতিফ মীর্জা।

রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আলম বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই ইউপি সদস্যকে আটক করা হয়।

বর্তমানে থানায় নিয়ে আটক দুই ইউপি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেলের মধ্যেই তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

ওসি রুহুল আলম আরও জানান, নির্যাতনের শিকার জার্জিসের বাবা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহার আলী মণ্ডলসহ নয় জনকে আসামি করেছেন। পুলিশ দুই ইউপি সদস্যকে আটক করেছে। আর ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যায়নি। তবে তাকে আটকের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে বুধবার (০৮ মার্চ) দুপুরে ছাগল চুরির অভিযোগে গাছের সঙ্গে দুই কিশোরকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।

এরা হচ্ছে- উপজেলার হাড়িয়াপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে জার্জিস হোসেন ও পলাশবাড়ি গ্রামের সেকু আলীর ছেলে রতন হোসেন।

জার্জিস হোসেন ও রতন হোসেন নামের ওই দুই কিশোর গত মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) গভীর রাতে আন্দুয়া গ্রামের ক্যাচিনি ফকিরের ছেলে রেজাউলের বাড়ি থেকে ছাগল চুরি করে।

বুধবার (০৮ মার্চ) ভোরে পবার হরিয়ান বাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় নৈশ প্রহরীর সন্দেহ হলে ছাগলসহ তাদের আটক করে।

 

পরে ওই দুই কিশোরের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে আন্দুয়া গ্রামে খবর দিলে সকালে ইউপি সদস্য আব্দুল মোতলেব নিজ জিম্মায় তাদের ছাড়িয়ে আন্দুয়া গ্রামে নিয়ে যান। পরে দুপুরে ছাগল মালিক রেজাউলের বাড়ির পাশে সালিশ বসান।

 

সালিশি বৈঠকে ওই দুই কিশোরকে গাছে বেঁধে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে খবর দেওয়া হলে তাদের পরিবারের লোকজন যান। এ সময় পরিবারের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জরিমানার এই টাকার মধ্যে আড়াই হাজার টাকা ছাগল মালিককে দিয়ে বাকী টাকা গ্রাম্য সমাজে দেওয়ার নামে নিয়ে নেন ওই দু’জন ইউপি সদস্য। এ ঘটনার পর জার্জিস হোসেনের বাবা জিয়াউর রহমান থানায় মামলা করেন।

 

ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহার আলী মণ্ডল, আন্দুয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব ও হাড়িয়াপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ মির্জা এ সালিশ পরিচালনা করেন। পরে দুই কিশোরকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৭/আপডেট: ১৮৩৫

এসএস/এএটি/এসএইচ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।