ওই মামলায় বিচারিক আদালতে এরশাদকে তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়। সেই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন এরশাদ।
বৃহস্পতিবার আদালতে এরশাদের পক্ষে ছিলেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর এরশাদের পক্ষে আপিল শুনানি শুরু করেন তার আইনজীবী।
২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এইচএম এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয় দুদক। ওইদিন আপিলে পক্ষভুক্ত হতে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ।
দীর্ঘদিন পর এ মামলায় আপিল শুনানির দিন ধার্য করতে গত ২২ আগস্ট আবেদন করেছিলো দুদক। এরপর আবেদনটি কয়েক দফা কার্যতালিকায় এলেও মামলার নথি না আসায় শুনানি শুরু হয়নি।
পরে গত ১ নভেম্বর শুনানির দিন ১৫ নভেম্বর নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। ওইদিন এরশাদের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে ৩০ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।
১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এরশাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তত্কালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় মামলাটি করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।
ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়। একইসঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন এরশাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৬
ইএস/জেডএম