বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের একটি দল এ অভিযান চালায়। এসময় প্রায় কোটি টাকা মূল্যের মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ, হৃদরোগের ওষুধ ও ক্ষতিকর বিভিন্ন ব্রান্ডের এনার্জি ড্রিংকস ও কেমিক্যাল জব্দ করা হয়।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, শহরের শিবরামপুর জুবিলি ট্যাংকপাড়া এলাকার হায়দার আলী তার বাড়িতে অনুমোদনহীন ‘ডোরা ফুড প্রডাক্টস’ নামে নকল এনার্জি ড্রিংকস ও নকল ওষুধ তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কে নকল জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এনার্জি ড্রিংকস, সফট ড্রিংকস উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রুহুল আমিন ও স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি থোয়াই অংপ্রু মারমার নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে এক কোটি উনত্রিশ লাখ টাকা মূল্যের নকল ওষুধ ও ওষুধ তৈরির বিভিন্ন উপকরণ এবং বিপুল পরিমাণ নকল ড্রিংকস জব্দ করা হয়।
পরে কারখানার মালিক হায়দার আলীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন মনিরা ভেজাল পণ্য ও নকল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করার দায়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেন।
ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) শফিকুল ইসলাম জানান, অবশ্যই এ ধরনের অভিযোগে জেল জরিমানা হওয়া প্রয়োজন। তবে কেন তারা জেল না দিয়ে শুধু জরিমানা করলেন বিষয়টি আমাদের কাছে সুস্পষ্ট নয়।
এলাকাবাসী পবিত্র রহমান বলেন, নকল ওষুধ জব্দ করা সত্বেও কাউকে আটক বা কারখানাটি সীলগালা এবং মেশিনারিজ জব্দ না করে শুধু জরিমানা করলেন। দুই মাস আগেও এই কারখানায় এ ধরনের একটি অভিযান পরিচালিত হয়। সেদিনও শুধু জরিমানা করা হয়েছিল। মেশিনারিজ জব্দ ও কারাদণ্ড হলে এ ব্যক্তি পুনরায় এ ধরনের পন্য উৎপাদন করতে পারতেন না।
মেশিনারিজ জব্দ না করার ব্যাপারে কথা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন মনিরা বলেন, আপনারা দেখেন যদি তারা পুনরায় উৎপাদন শুরু করে, তাহলে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে। দুই মাস আগেও একই ধরনের অভিযান পরিচালিত হয়েছিল জানালে তিনি আর কিছু না বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ০৯ মার্চ, ২০১৭
আরএ