ঢাকা, সোমবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য নিয়ে যাবে রাশিয়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৭
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য নিয়ে যাবে রাশিয়া জাতীয় সংসদে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য যেটা হবে, সেটা রাশিয়া নিয়ে যাবে বলে কথা দিয়েছে। 

আর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।


 
বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) রাতে দশম জাতীয় সংসদের ৩৭তম কার্যদিবসে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছি। এটা নির্মাণ করা এতো সহজ না। এটা সেই ১৯৬২ সাল থেকে চিন্তাভাবনার প্রকল্পের জায়গা। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা একটি কমিটি করি। এখানে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এমন কি আমেরিকায় একটি নিউক্লিয়ার প্রতিষ্ঠানের লোক এসে নিজেরা দেখে গেছে জায়গা।
 
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে যে উদ্যোগটি নিয়েছিলাম, মাঝখানে ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত কোনো কিছু হয়নি। ২০০৯ সালে এসে আবার আমরা উদ্যোগ নেই এবং যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছি, তা এখন আরো আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন প্রক্রিয়া অনুযায়ী হচ্ছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যে বর্জ্য হবে সেটার জন্যও রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এর ব্যবস্থা তারা করবেন। তারা এটা আমাদের কথা দিয়েছেন।
 
তিনি আরও বলেন, এখন অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যাতে কোনো রকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এসময় তিনি বলেন, পৃথিবীর বহু দেশে এই রকম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। আমাদের কিছু মানুষ আছে। কোনো কিছু নতুন করতে গেলেই নানা রকম খুঁত ধরতে শুরু করে। কাজেই এটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই। এইটুকু অন্তত আমি বলতে পারি। আমি নিজে বাংলার ছাত্রী, আমি কোনো সাইনটিস্ট না। তবে আমার স্বামী কিন্তু নিউক্লিয়ার সাইনটিস্ট ছিলেন। সেইটুকু বলতে পারি। আর অ্যাটমিক এনার্জির সঙ্গে যোগাযোগ আছে। আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জি ওখানে আমাদের অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে। অনেক পরিচিত লোক আছে। এবং সেখানে অনেকে আমাদের ভলান্টিয়ার সার্ভিসও দিচ্ছেন। অনেক বাঙালিও ওখানে আছে। তাদের সঙ্গে আমাদের সবসময় যোগাযোগ হয়। আলোচনা হয়। কাজেই এইটুকু বলতে পারি, ওখানে নিরাপত্তার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। এটা নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো।
 
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে বলেন, রামপাল সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনে হচ্ছে না, রামপালে হচ্ছে। আর এটি হচ্ছে সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্লান্ট। বিদ্যুত কেন্দ্রের ধোঁয়া কোনভাবেই সুন্দরবনের দিকে যাবে না। এটা এতো উপরে চলে উঠে যাবে সেটা সুন্দরবনে পৌঁছাবে না, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর এই প্রকল্প এলাকায় ৫ লাখ বৃক্ষ লাগানো হবে, ইতোমধ্যে দেড় লাখ গাছ লাগানো হয়ে গেছে।  

**গণতন্ত্র আছে বলেই উন্নয়ন হচ্ছে, কথা বলার অধিকার আছে 
**জনগণ আমাদের ভোট দেবে কি করে, প্রশ্ন রওশনের​
** রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় রেকর্ড গড়লো দশম সংসদ

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৭
এসকে/ এসএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।