বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘তথ্য অধিকার আইন ও গভীরতাধর্মী সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিমত দেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টের (বিএফইউজে) সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, একাত্তর টিভির বার্তা পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।
গোলাম রহমান বলেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করতে তথ্য অধিকার আইন সাংবাদিকদের সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করে। কারণ ভাসা ভাসা তথ্য দিয়ে ভালো প্রতিবেদন সম্ভব নয়। কিন্তু এ আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকরা সহজে তথ্য পেয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেন। যা আমাদের দেশের দুর্নীতি কমাতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন হয় ২০০৯ সালে। তবে এ আইন হওয়ার সাত বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষ এখনও এ সম্পর্কে জানে না। এজন্য আইনটি সম্পর্কে মানুষকে জানানো প্রয়োজন। মানুষ যতো বেশি আইনটি সর্ম্পকে জানবে ততো বেশি তথ্য পেতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। ফলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে এবং দুর্নীতি বন্ধ হবে।
সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বর্তমান সরকার দেশে গণতন্ত্র চর্চার জন্য তথ্য কমিশন, মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। মন্ত্রীদের জবাবদিহিতার জন্যও সংসদীয় কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু এ কমিটির বৈঠক হয় লোকচক্ষুর অন্তরালে। এখানে কি সিদ্ধান্ত হয় তা গণমাধ্যমে যতটুকু জানানো হয় ততটুকুই প্রকাশ পায়। গণতন্ত্রের চর্চা ও অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতের জন্য সংসদীয় কমিটির বৈঠক উন্মুক্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, তথ্য অধিকারও মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে মানুষের অস্তিত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। তাই এখন সময় এসেছে এ আইনকে হালনাগাদ করে সাধারণ মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দেওয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৭
এসকেবি/আরআর/জেডএস