নিহতরা হলো- শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের নিহালপুর গ্রামের বাসু শেখের ছেলে সাব্বির হোসেন (৮)। সে স্থানীয় নিহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অপরদিকে ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বৈকুন্ঠপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে দুরন্ত (৭)। বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাঁড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের কাঠ ব্যবসায়ী বাসু শেখের ছেলে সাব্বির হোসেন বৃহস্পতিবার বিকেলে নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন রাতভর অনেক খোঁজাখুঁজি এবং এলাকায় মাইকিং করেও কোন সন্ধান পায়নি।
শুক্রবার সকালে আরিচা পুরাতন ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় যমুনা নদীর পাড়ে শরীরের অর্ধেক বালু চাপা দেওয়া অবস্থায় শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ওসি জানান।
অপরদিকে শুক্রবার সকালে জেলা ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বৈকন্ঠপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে দুরন্ত নামের একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান ঘিওর থানার ওসি মিজানুর রহমান।
শিশুটির নানা ইউনুস মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দুরন্তকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সারারাত অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের বাঁশঝাঁড়ে কাপড় পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
ইউনুস মিয়া আরো জানান, আড়াই শতাংশ জমি নিয়ে পাশের বাড়ির ইউছুব, আনোয়ার, ও রাসুর সঙ্গে শহিদুলের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। তার দাবি এই জমির বিরোধের জের ধরেই দুরন্তকে ওরা হত্যা করেছে।
ঘিওর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে শিশুটিকে শ্বসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ১০ মার্চ, ২০১৭
আরএ