ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় অস্ত্রসহ ২ জলদস্যু আটক, ডাকাতির মালামাল উদ্ধার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
খুলনায় অস্ত্রসহ ২ জলদস্যু আটক, ডাকাতির মালামাল উদ্ধার খুলনায় অস্ত্রসহ ২ জলদস্যু আটক, ডাকাতির মালামাল উদ্ধার-ছবি:বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনায় অস্ত্র ও গুলিসহ সুন্দরবনের দুই জলদস্যুকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে দু’টি পাইপ গান, পাঁচ রাউন্ড বন্দুকের তাজা কার্তুজ ও চার রাউন্ড এমটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

আটকরা হলেন- মংলার কানাই নগর গ্রামের কুদ্দুস শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ (১৯) ও রামপাল উপজেলার ফয়লা পাড় গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর শেখের ছেলে আব্দুল খালেক শেখ (৬৩)।

অন্যদিকে, একটি বিদেশি বন্দুক, ১৯ রাউন্ড গুলি ও একটি এমটি কার্তুজসহ ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ডাকাতদলের এক সহযোগীকে আটক করা হয়।

শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুরে মহানগরীর লবণচরায় র‌্যাব-৬ এর দফতরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বাগেরহাটের রামপাল থানাধীন ফয়লাপাড় গোবিন্দপুর এলাকা অভিযান চালানো হয়। এ সময় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ওই দস্যুদের আটক করা হয়। খুলনায় অস্ত্রসহ ২ জলদস্যু আটক, ডাকাতির মালামাল উদ্ধার-ছবি:বাংলানিউজতবে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে শফিক ওরফে সামছু ওরফে ছোট্ট, তারিক ও অনুপ রায়সহ চার-পাঁচজন কৌশলে পালিয়ে যান।
পরবর্তীতে আটকদের দেওয়া তথ্যমতে মংলা থানার ধান সিদ্ধেরচর হারবারিয়া এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, জলদস্যুরা দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের জেলে, কাঁকড়া ও গোলপাতার ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছেন। তারা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে জেলেদের নৌকা ডাকাতি করে সর্বস্ব লুটে নেন।

আটকদের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় অস্ত্র আইন ও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
পৃথক প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৬ এর পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, বটিয়াঘাটা থানায় শনিবার (০৪ মার্চ) দায়ের হওয়া ডাকাতি মামলার সন্দেহভাজন আসামি আবুল হোসেন (৩৫) ডাকাত বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কালিকা প্রসাদ গ্রামের একটি বাড়িতে অবস্থান করছেন, এমন খবর পেয়ে ৠাব সেখানে অভিযান চালায়। এসময় ওই গ্রামের মৃত শেখ কেরামত আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার মেয়ে ও ডাকাত আবুল হোসেনের সহযোগী শারমিনা বেগম ওরফে শাবানাকে আটক করা হয়।
অভিযানের খবর পেয়ে ডাকাত আবুল হোসেন পালিয়ে যান। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বসত ঘর থেকে একটি দোনলা বন্দুক, ১৯ রাউন্ড বন্দুকের তাজা কার্তুজ, একটি এমটি কার্তুজ, একটি ডিজিটাল ক্যামেরা ও এক জোড়া রুপার নুপুর উদ্ধার করা হয়।
গত ০৪ মার্চ বটিয়াঘাটা উপজেলার আমিরপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বিড়ি কোম্পানির ম্যানেজার আব্দুর রশিদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। উদ্ধার করা মালামাল ওই বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৬
এমআরএম/এএটি/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।