এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও ইন্টার্নদের নিরাপত্তার দাবিতে জরুরি বিভাগ বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
তবে আধঘণ্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে জরুরি বিভাগ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার (১০ মার্চ) দিনগত রাত ১১টার দিকে সেতু নামের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক হাসপাতালের দায়িত্ব পালন শেষে পায়ে হেঁটে ইন্টার্ন ডক্টরস হোস্টেলের দিকে যাচ্ছিলেন।
পথে কলেজ ক্যাম্পাসের ডোমঘর অতিক্রমের সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে সে। এসময় ছিনতাইকারীরা ইন্টার্ন চিকিৎসক সেতুর গলায় ছুরি ধরে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।
তবে একটি মোটরসাইকেল এসে পড়লে ছিনতাইকারীরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় রাজীব খান নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়।
পরে তাকে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয় ও পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকের গলায় ছুরি ধরে ছিনতাইয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্য ইন্টার্নরা রাত সোয়া ১১টার দিকে জরুরি বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। এসময় তারা ক্যাম্পাসে তাদের নিরাপত্তার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
কলেজ ছাত্রলীগের নেতা সায়েম জানান, ছিনতাইকারীদের সদস্য রাজীব খান নগরের রুপাতলী এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি আটকের পর তার কাছ থেকে ‘ক্রাইম পেট্রোল নিউজ’ নামে একটি পত্রিকার আইডি পাওয়া গেছে। যার মেয়াদ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। সেটিও পুলিশের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের ধারণা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে সহজে সটকে পড়ার জন্যই কার্ডটি ব্যবহার করছিলো ওই যুবক।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) তাহের জানান, খবর পেয়ে তারা হাসপাতালে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে জরুরি বিভাগ খুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি আটক হওয়া যুবককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আটক রাজীব খানের বিরুদ্ধে ছিনতাইকারীর কবলে পড়া ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৬
এমএস/জেডএস