শনিবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাঙ্গামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সন্তু লারমা বলেন, আমরা বিজ্ঞানের দিক দিয়ে এগিয়ে গেলেও আমাদের দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন না হওয়ায় আমাদের সমাজে বৈষম্য, জাতিগত দ্বন্দ্ব, শ্রেণিভেদ লেগে থাকে।
‘যে শিক্ষা আমাদের সমাজে হানাহানি, বৈষম্য দ্বন্দ্ব সংঘাত দূর করতে পারে না, সে শিক্ষাকে আমি শিক্ষা বলি না। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা গণমুখী হলে সমাজ থেকে দ্বন্দ্ব, সংঘাত দূর করা যাবে’- যোগ করেন তিনি।
সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্যঞ্চালের শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো লিখিত দলিল নেই। এজন্য এ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য দলিল তৈরি করা উচিত। কারা এ পার্বত্যঞ্চালের শিক্ষার উন্নয়নে অবদান রেখেছেন তাদের সম্পর্কে জানতে হবে।
তিনি বলেন, এ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হচ্ছে। এ বিদ্যালয় থেকে অনেক কৃতি ছাত্রী বের হয়েছেন। তারা কি কোনোদিন এ বিদ্যালয়ের শিক্ষাসহ সামগ্রিক উন্নয়নের কথা ভেবেছেন। ভেবে দেখার জন্য এ সময় তিনি বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রীদের দৃষ্টি কামনা করেন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক ও সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক, জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিদওয়ানুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক মো. মুজিবুর রহমানের মেয়ে শিক্ষাবিদ কাওসার জাহান ফরিদা, ওই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক অঞ্জুলিকা খীসা ও নীরুপা দেওয়ান।
পরে বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, যারা দেশ-বিদেশে সুনাম ছড়াচ্ছেন- এমন ৪৫ জনকে সম্মাননা দেওয়া হয় সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে।
রাঙ্গামাটির ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়ের শুক্রবার (১০ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব বিকেলে সাবেক ছাত্রীদের স্মৃতিচারণের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
আরবি/টিআই