শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে সংসদে এই প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনার আগে প্রায় ১৮ মিনিটের ওই ভিডিও ও স্থিরিচিত্রে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের গণহত্যার চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় সংসদে নীরবতা নেমে আসে।
আলোচনা শুরু আগে তরুণ সংসদ সদস্য ও দেশের যুব সমাজের উদ্দেশে সেই ভয়াল চিত্র দেখানো হয়। দেখানোর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চই শুধু নয়; এর পথ ধরেই এদেশে যে গণহত্যা শুরু হয়েছিল... অনেক সংসদ সদস্য আছেন এখানে যারা যুবক, একাত্তরের সেই ভয়াল চিত্র তারা দেখেননি। সংসদে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, স্পিকার আপনার অনুমতি নিয়ে আমি ওই সময়কার কিছু ছবি-ভিডিও দেখাতে চাই যেগুলো বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারিত হয়েছিল। সেগুলো দেখাতে চাইছি।
এরপর পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার বিভিন্ন চিত্র, ভিডিও দেখানো হয়। এছাড়া দেখানো হয় শরণার্থীদের দেশ ত্যাগ, গণহত্যার চিত্র।
সচিত্র প্রতিবেদনের শুরুতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের ছবি দেখানো হয়। প্রতিবেদনে ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটিও প্রদর্শিত হয়েছে।
এর আগে, কার্যপ্রণালী-বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব আনেন শিরীন আখতার।
***২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবসের প্রস্তাব
***২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব উত্থাপন
***বাল্যবিয়ে নিরোধ বিলসহ ৩ বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
***১৯৫ পাকিস্তানি সেনার আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবি
***গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
এসকে/এসএম/আইএ