একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলসহ তাদের নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারিকরণের জোর দাবিও জানান তারা। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব দাবি তোলেন সংসদ সদস্যরা।
শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। এরপর সংসদে ১৮ মিনিট ধরে ভিডিও ও স্থিরচিত্র দেখান সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, আব্দুল মতিন খসরু, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, আব্দুর রহমান, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. দীপু মনি, আব্দুল মান্নান, নুরুল ইসলাম সুজন, এটিএম ওয়াহাব, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বজলুল হক হারুন, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মনিরুল ইসলাম, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী, বেগম নুরজাহান বেগম, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।
জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বলেন, কাজী ফিরোজ রশিদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, ফখরুল ইমাম। এছাড়া বলেন, জাসদ একাংশের নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল। তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ’র সভাপতি এসএম আবুল কালাম আজাদ। ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী প্রমখ।
বক্তৃতার তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে চিহ্নত ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যর আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করতে হবে। একইসঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার দোসর জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারিকরণ এবং জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
এসকে/এসএম/আইএ