২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ঘোষণার জন্য উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এই প্রস্তাব করেন। শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরীন আখতার।
আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশে এই ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড আর আমরা দেখতে চাই না। সেজন্য এই ২৫ মার্চ দিবসটিকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করতে হবে। এই প্রস্তাব যুক্তিযুক্ত এজন্য এখনও পাকিস্তানের পেতাত্মারা এই দেশে আছে। তারা যাতে কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেই জন্য এই দিবসটি পালন করা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিকভাবে এই দিবসের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ২৫ মার্চ কালরাতে অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে গণহত্যা চালানোর জন্য জেনারেল ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খান, জুলফিকার আলী ভুট্ট দায়ী।
তিনি বলেন, শিমলা চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান ১৯৫ জন সেনা কর্মকর্তার বিচারের দায়িত্ব নিজেরাই নিয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সরকারের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও গণহত্যার চিত্র উঠে আসে। আজ সেই পাকিস্তান বেলুচিস্তানে গণহত্যা চালাচ্ছে। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিলে সারাবিশ্বের মানুষ পাকিস্তানের এই অপরাধের ইতিহাস জানতে পারবে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার চালিয়ে এই গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি আদায় করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, নিয়াজী নিজেই বলেছেন ২৫ মার্চের হত্যাকাণ্ড ছিলো বাগদাদ ও গোখারায় চেঙ্গিস খান ও হালাকু খানের গণহত্যার চেয়েও ভয়াবহ। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, খালেদা জিয়া ও পাকিস্তানি দোসরা যতই চেষ্টা করুক যুদ্ধাপরাধীদের শেষ বিচারটা পর্যন্ত আমরা করবো। আমাদের নতুন প্রজন্ম করবে। কেউ রক্ষা পাবে না।
আলোচনায় আরও অংশ নেন- ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
এসকে/এসএম/টিআই