ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সংসদে গৃহীত

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সংসদে গৃহীত সংসদ অধিবেশনের ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৪ জন সংসদ সদস্যের ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের আলোচনা পর শনিবার (১১ মার্চ) রাতে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া হোক।

এর আগে বিকেল ৩টা ১৫মিনিটে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।

মাগরিবের বিরতির পর রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে এই আলোচনার সমাপ্তি ঘটে। কিছু সংশোধনীসহ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ অনুরূপ আরেকটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। কিন্তু প্রস্তাবটি যথা সময়ে উত্থাপন না হওয়ায় তা গ্রহণ করা গেলো না বলে জানান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যে গণহত্যা হয়, তা থেমে থাকেনি, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় পর্যন্ত চলেছে। ২৫ মার্চ যে পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে তার কোনো প্রমাণ লাগে না। সারাবিশ্বের পত্র-পত্রিকায় এই গণহত্যার কথা বলা হয়েছে। আমরা নিজের চোখে এই গণহত্যার চিত্র দেখেছি। এই ধরনের গণহত্যা যাতে আর কখনও না হয়- সেটা আমরা চাই। এই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা আহ্বান জানাচ্ছি। পরে স্পিকার প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে দিলে তার গ্রহণ করা হয়।

**গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে আন্তর্জাতিক প্রচারের আহ্বান
** `বড় দু:খ বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ঘোষণা করতে পারিনি’

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
এসএম/এসকে/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।