শনিবার (১১ সন্ধ্যায়) সন্ধ্যায় পুলিশ গণমাধ্যমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরআগে, শুক্রবার (১০ মার্চ) তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ইব্রাহিম, ঝন্টু, আনোয়ার হোসেন, চায়না ও পলি।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের কাঠ ব্যবসায়ী বাসু শেখের ছেলে সাব্বির হোসেন বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকেলে নিখোঁজ হয়। এরপর শুক্রবার (১০ মার্চ) সকালে আরিচা পুরাতন ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় যমুনা নদীর পাড়ে শরীরের অর্ধেক বালু চাপা দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ উদ্ধারের পর সাব্বিরের দাদি আয়শা বেগম বাদী হয়ে প্রতিবেশি ইব্রাহিম ও ঝন্টুকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ইব্রাহিম ও ঝন্টুকে গ্রেফতার করে। শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। বর্তমানে তাদের থানা কারাগারে রাখা হয়েছে। রোববার (১২ মার্চ) তাদের কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকেলে ঘিওর উপজেলার বৈকুন্ঠপুর গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে দুরন্ত (৭) নিখোঁজ হয় । এরপর দিন শুক্রবার (১০ মার্চ) বাঁশঝাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর দুরন্তের নানা ইউসুফ আলী বাদী হয়ে ঘিওর থানায় পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত শিশুর বাবা শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, জমি নিয়ে প্রতিবেশি ইউসুফ আহম্মদের সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। এ জের ধরে দুরন্তকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দুরন্ত হত্যার ঘটনায় আনোয়ার হোসেন, চায়না ও পলি নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার আসামিদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
**মানিকগঞ্জে ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
এনটি