ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

২৫ মার্চের গণহত্যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
২৫ মার্চের গণহত্যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সংসদে প্রধানমন্ত্রী/ছবি: পিআইডি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে:  ‘২৫ মার্চের গণহত্যা এখন আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। এর কোনো প্রমাণের প্রয়োজন নেই। এ ধরনের গণহত্যা যাতে আর কখনও না হয়, এটা আমরা চাই। যারা এ গণহত্যার কথা অস্বীকার করে তাদের এদেশে থাকার অধিকার নেই।’

শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে জাসদের সংসদ সদস্য ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ঘোষণার প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয় ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া হোক।

‌’
 
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২৫ মার্চ যে গণহত্যা শুরু হয়েছিল দীর্ঘ নয় মাস তা চলে। এমনকি বিজয়ের পরেও সেটা চলে। মূলত ২৫ মার্চ আমরা জানি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত হয়ে হামলা চালিয়েছিল। রাজারবাগ, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুমন্ত বাঙালির উপর আক্রমণ চালায়, বস্তিগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মানুষ বেরিয়ে আসে আর গুলি করে তাদের মারা হয়।

তিনি বলেন, ২৬ মার্চ ছিলো কারফিউ। ২৭ তারিখ আমরা দেখেছি, রাস্তায় রাস্তায় গুলি খাওয়া মানুষের লাশ পড়ে আছে। গণহত্যা কি সেটা আমরা নিজের চোখে দেখেছি। সুচিন্তিতভাবে বিশাল সংখ্যক মানুষ হত্যা করাই হলো গণহত্যার সংজ্ঞা। জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস  ঘোষণা দিয়েছে। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আমরা গ্রহণ করতে পারি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছে তার প্রমাণ লাগে না। সারাবিশ্বের পত্র-পত্রিকায় এ গণহত্যার কথা বলা হয়েছে। আমরা নিজের চোখে গণহত্যার চিত্র দেখেছি। এ ধরনের গণহত্যা যাতে আর কখনও না হয় সেটা আমরা চাই।
 
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী পাকিস্তান থেকে এসেছিল। তারা রাস্তাঘাট চিনতো না, জামায়াতের রাজাকার, আলবদর আল শামসরাই তাদের রাস্তাঘাট চিনিয়েছে। গণহত্যায় সহযোগিতা করেছে দোসর হিসেবে কাজ করেছে।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের কিছু কুলাঙ্গার আছে তারা মুক্তিযুদ্ধ গণহত্যা নিয়ে বির্তক তৈরি করে। মেজর জেনারেল জেড এ খান। এই লোকটিকে অবসর নেওয়ার আগে মেজর জেনারেল  করেছিলাম। তিনি তার এক বইয়ে লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধ ছিলো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার চক্রান্তের ফসল। এরা কীভাবে একথা লেখে? যারা এই যুদ্ধপরাধীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল তারাও যুদ্ধাপরাধী।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
এসকে/এসএম/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।