রোববার (১২ মার্চ) রাতে শহীদ হাদিস পার্কে উৎসবের সমাপনী হয়।
তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো শোভাযাত্রা, দেশের লোক সংস্কৃতির ইতিহাস-ঐতিহ্যের ওপর আলোচনা, লোক-সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে ভূমিকা রাখার জন্য প্রখ্যাত শিল্পী-সাধকদের সংবর্ধনা এবং বিভিন্ন অঞ্চলের লোক শিল্পীদের সমন্বয়ে সংগীত, লোকনৃত্য, অষ্টক গান, জারিগান, আব্বাসউদ্দীন একাডেমির ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ।
লোকজ সংষ্কৃতির বিকাশ ও চর্চা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ লোক উৎসবের আয়োজন করে খুলনার আব্বাসউদ্দীন একাডেমি। এ উৎসবের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো দেশের শীর্ষ নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট আবৃত্তিকার চৌধুরী মিনহাজুর জামান সজলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত লোক সঙ্গীত শিল্পী ও গবেষক আব্বাসউদ্দীনের ছোট ছেলে মোস্তফা জামান আব্বাসী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, আব্বাসউদ্দীন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাচ্চু।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মা-মাটি-মানুষকে নিয়ে হাজার বছর ধরে গড়ে উঠেছে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতিকে আকড়ে ধরে মাটি ও মানুষের গান দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন লোক সংগীত সম্রাট আব্বাসউদ্দীন। তার সুযোগ্য সন্তান মোস্তফা জামান আব্বাসীও লোক সংস্কৃতি বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন।
তিনি লোক উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, লোকসংস্কৃতিই বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
আব্বাসউদ্দীন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাচ্চু বাংলানিউজকে বলেন, প্রাচীন কালে যেসব লোক গানের আসর বসতো, যাত্রাপালার আসর বসতো গ্রামের মানুষ তা শ্রোতার আসনে বসে সারারাত জেগে উপভোগ করতো আর তাদের সংস্কৃতির পিপাসা মেটাতো। কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে যেতে বসছে।
লোক-সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া ঐহিত্য ধরে রাখতে আব্বাসউদ্দীন একাডেমি এ ধরনের উৎসবের আয়োজন করেছে। যা খুলনাবাসীকে মুগ্ধ করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৬
এমআরএম/এসআরএস/এমজেএফ