সোমবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ১৪ দেশের পুলিশ প্রধানদের নিয়ে আয়োজিত কনফারেন্সের ২য় দিনের আলোচনা শেষে আইজিপি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
আইজিপি বলেন, আমরা ইন্টারপোলের সেক্রেটারি জেনারেলকে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, এ অফিস স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচন, অফিস তৈরির বিষয়টি আমাদের করতে বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। তারপরও সরকারের পক্ষ থেকে যদি গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া যায় তবেই আমরা অগ্রসর হবো বলেও জানান আইজিপি।
আইজিপি শহীদুল হক বলেন, আজকে ৮টি দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সবাই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। এর মধ্যে মায়ানমার, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রুনাই, আফগানিস্তান, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া ভিয়েতনামের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
মায়ানমার আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী দেশ। সেখান থেকে মাদক (ইয়াবা) আসে, এ নিয়ে আমরা বিপাকে রয়েছি।
মায়ানমারের সীমান্ত এলাকায় যেসব ইয়াবা কারখানা রয়েছে সেগুলোর কিছু লিস্ট দিয়েছি, সেগুলো সনাক্ত করে ধ্বংস করে এবং বাংলাদেশে যেন ইয়াবা না আসে। সে বিষয়ে তারা সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, সব বিষয়ে তারা সহায়তা করবে। আফগানিস্তান বলেছে তাদের পুলিশ সদস্যদের ট্রেনিং দেওয়ার জন্য। মালয়েশিয়ায় আমাদের অনেক শ্রমিক ভাই রয়েছেন। সেখানে যেন শ্রমিকরা তাদের বিভিন্ন সহায়তা করেন।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারির পর তা আমলে নেওয়া হয় না। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
তাই এ বিষয়ে ইন্টারপোলের সেক্রেটারি জেনারেল ইয়ুর্গেন স্টক বলেছেন, ঢাকা থেকে ফিরে গিয়ে এ বিষয়ে সদর দফতরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ ও ইন্টারপোলের যৌথ আয়োজনে এ সম্মেলন চলবে আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত।
কনফারেন্সে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নিয়েছেন আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রুনাই, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
এসজেএ/জেডএস