যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস বাংলানিউজকে জানান, নরসিংদী জেলার একটি প্রতরণার মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার দুপুরে বিনয় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, ক্ষমতার অপব্যহার করে যশোরের পুলিশ সুপার আমার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেন।
আটক বিনয়কৃষ্ণ ছেলে শ্যামল মল্লিক বলেন, দুপুরে তার বাবা যখন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে যান, তখন থেকেই সাদা পোশাকে চারজন পুলিশ সদস্য ঘোপ জেল রোডের রাইটস যশোরের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিল। পরে সন্ধ্যায় আমাদের বাড়িতে অভিযান চালায় তারা। সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে বাবাকে আটক করা হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, আমাকে হয়রানি করার জন্য এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।
এদিকে, যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের দাবি, বিনয়কে নরসিংদী জেলার পুলিশ আটক করেছে। যশোরের পুলিশ শুধুমাত্র তাদের সহযোগিতা করেছে। তাকে আটকের ব্যাপারে যশোর জেলা পুলিশের কোনো হাত নেই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিনয়কৃষ্ণ আরো বলেছিলেন, যশোর শহরের গাড়িখানায় রাতের অন্ধকারে শত বছর ধরে ভোগদখলে থাকা ২৪ ঘরের বাসিন্দাদের পুলিশ বিনা নোটিশে তাড়িয়ে দেয়। পরে সেখানে গড়ে তোলা হয় পুলিশ ক্লাব। আমি এর প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে যশোরের পুলিশ সুপার একের পর এক ষড়যন্ত্র করে আসছেন। এর আগে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে আপত্তিকর আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া আমার ছেলে সবুজ মল্লিকের নামে একটি মিথ্যা মামলাও দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ ৯ মার্চ শহরের গাড়িখানা এলাকা থেকে সবুজকে একদল সাদা পোষাকধারী লোক তুলে নিয়ে যায়। পথে মাইক্রোবাসে ফেনসিডিল তুলে নেওয়া হয়। পরে সেই ফেনসিডিলসহ খুলনার ফুলতলা টহল পুলিশ তাকে আটক দেখায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
এসআই