ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর কাছে যতো দাবি-দাওয়া লক্ষ্মীপুরবাসীর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭
প্রধানমন্ত্রীর কাছে যতো দাবি-দাওয়া লক্ষ্মীপুরবাসীর

লক্ষ্মীপুর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭টি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে লক্ষ্মীপুর আসছেন মঙ্গলবার (১৪ মার্চ)। এসব কার্যক্রমের পর দুপুরে লক্ষ্মীপুর স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায়ও যোগ দেবেন তিনি।

আর প্রধানমন্ত্রীর আগমনে তার কাছে উত্থাপনের জন্য দাবি-দাওয়া পরিকল্পনা করে নিয়েছে লক্ষ্মীপুরবাসী। জানা গেছে, মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধি, রেল লাইন স্থাপন ও অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণাসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হবে তার কাছে।

লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডা. মাকছুদ কামাল বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন লক্ষ্মীপুরবাসীর জন্য উপহার। এতে এ জেলার মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল বলেন, আওয়াম লীগ সরকারের আমলে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়। এর ধারাবাহিকতায় জেলায় ১০টি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ১৭টি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। এছাড়াও চন্দ্রগঞ্জ থানাকে উপজেলায় বাস্তবায়নসহ লক্ষ্মীপুরবাসীর প্রাণের দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করবো।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্মীপুর আগমন এ জেলাবাসীর সৌভাগ্য। তার আন্তরিকতায় কমলনগরে মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে এক কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ চলছে। মাত্র এক কিলোমিটার কাজ যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন আরও সাড়ে ৫ কিলোমিটার। এ  প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাবো।  

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের বলেন, লক্ষ্মীপুরে রেল লাইন স্থাপন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি খামার এবং নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি করা হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, লক্ষ্মীপুরের ২০ লাখ মানুষের প্রাণের দাবি মেডিকেল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি তুলে ধরা হবে সরকারপ্রধানের কাছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, লক্ষ্মীপুর কৃষিনির্ভর একটি জেলা। এ জেলা নারিকেল-সুপারি ও সয়াবিনের রাজধানী হিসাবে খ্যাত। লক্ষ্মীপুরকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা, প্রেস ক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণ, ইলিশ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন, লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম রাস্তা প্রশস্তকরণ, নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপন ও রামগতির আলেকজান্ডার পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী জানান, জেলার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জেলার সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে ১৫টি দাবি উপস্থাপন করা হবে।  

প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্মীপুরে যে ২৭টি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন, সেগুলোর মধ্যে উদ্বোধনের তালিকায় রয়েছে- রামগতি ও কমলনগর মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প (১ম পর্যায়), চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভবন, সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম, কমলনগর উপজেলা পরিষদ ভবন, কমলনগর উপজেলা অডিটোরিয়াম, লক্ষ্মীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ ভবন, মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নির্মাণ (৩য় ও ৪র্থ), কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও প্রাণি হাসপাতাল।

আর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের তালিকায় রয়েছে- ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, প্রশাসনিক ভবন ও নাবিক নিবাস-কোস্টগার্ড মজু চৌধুরীর হাট, পুলিশ অফিসার্স মেস- লক্ষ্মীপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ি, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন, লক্ষ্মীপুর খাদ্যগুদামে ৫০০ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন নতুন গুদাম নির্মাণ, রামগঞ্জ উপজেলায় ১৩২/৩৩ কেবি গ্রিড উপ-কেন্দ্র নির্মাণ, পিয়ারাপুর সেতু, চেউয়াখালী সেতু, মজু চৌধুরীর হাটে নৌ-বন্দর, লক্ষ্মীপুর পৌর আধুনিক বিপনী বিতান, রামগঞ্জে আনসার ও ভিডিপি ব্যাটালিয়ন সদরদপ্তর কমপ্লেক্স, লক্ষ্মীপুর পৌর আজিম শাহ (রা.) হকার্স মার্কেট, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ একাডেমিক ভবন কাম পরীক্ষা কেন্দ্র, লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্স মহিলা ব্যারাক নির্মাণ, লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়কে পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ, রায়পুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ও কমলনগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।