পাশাপাশি তরুণ সমাজের জন্য প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে কমনওয়েথ পার্লামেন্টারিয়ানদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
সোমবার (১৩ মার্চ) লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে কমনওয়েলথ দিবসে তরুণ সমাজের ভূমিকা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকের প্যানেল বক্তব্যে এ আহ্বান জানান স্পিকার।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) জাতীয় সংসদের গণসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। ‘এ পিস বিল্ডিং কমনওয়েলথ’ প্রতিপাদ্যে সিপিএ’র বিভিন্ন অঞ্চল ও শাখাসমূহে যথাযোগ্য মর্যাদায় কমনওয়েলথ দিবস পালিত হচ্ছে।
স্পিকার কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সদস্য দেশগুলোকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কমনওয়েলথের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে বিশ্ব শান্তি আরও সুদৃঢ় ও সুসংহত হবে।
তিনি বলেন, দেশে দেশে যুদ্ধাবস্থাই শুধু বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি নয়, বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় সন্ত্রাসবাদ, পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার, ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর ওপর আক্রমণও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মারাত্মক হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অংশে অব্যাহত সংঘাত ও সহিংসতার বিপক্ষে সিপিএ’র অবস্থান। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সিপিএ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
স্পিকার বলেন, বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ তরুণ, এই তরুণ সমাজকে গণতান্ত্রিক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করে বিশ্ব শান্তি, সমৃদ্ধি ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে হবে।
কমনওয়েলথ দিবস-২০১৭ এর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কমনওয়েলথ প্রধান ও সিপিএ’র প্যাট্রন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, সিপিএ’র সেক্রেটারি জেনারেল আকবর খাঁন, সিপিএ’র ব্রাঞ্চসমূহের প্রতিনিধি, কমনওয়েলথ দেশ সমূহের তরুণ প্রতিনিধি এবং ১০০০ জন স্কুল শিক্ষার্থী অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ