ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মেহেরপুরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪ জনই সন্ত্রাসী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭
মেহেরপুরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪ জনই সন্ত্রাসী

মেহেরপুর: মেহেরপুরের নুরপুর গ্রামে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত চার জনই সন্ত্রাসী। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার সময় পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান এ তথ্য জানান। এরআগে সোমবার (১৩ মার্চ) দিনগত রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চার জন নিহত হন।

নিহতরা হলেন- সোনাপুর গ্রামের ভাদু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন, রসময় কর্মকারের ছেলে রাজমিস্ত্রির যোগালে রমেশ কর্মকার, পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর গ্রামের মনিরুদ্দীনের ছেলে সোহাগ হোসেন ও টুঙ্গি গোপালপুর গ্রামের কালাম হোসেনের ছেলে কানন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৫ মার্চ দিনগত রাত পৌনে ১১ টায় সোনাপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম ও আব্দুল মজিদকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যান।

রাতেই সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীরা  আসাদুল ইসলাম ও আব্দুল মজিদকে গলাকেটে হত্যার পর সোনাপুর মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় পর পুলিশ ঢাকার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হোসেন, রমেশ কর্মকার, সোহাগ ও কামরুজ্জামান ওরফে কাননকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জোড়া খুনের ব্যাপারে তারা ১০/১২ জনের নাম প্রকাশ করে।

পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে আসামিদের ধরতে সোমবার (১৩ মার্চ) দিনগত রাতে পুলিশের একটি দল অভিযানে বের হয়। তারা নুরপুর ও কোমরপুরের মাঝখানে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ও বোমা বর্ষণ করে গ্রেফতারকৃতদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টাগুলি চালায়। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে পুলিশ সুপার আহসান হাবীবসহ সাত জন পুলিশ আহত হন। পরে গ্রেফতারকৃতদের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে একটি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, নিহতরা সবাই স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপের ফিট্টু বাহিনীর সদস্য। বাহিনী প্রধান ফিট্টু এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে অপহরণ, চাঁদাবাজি করে আসছে।

পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, বন্দুকযুদ্ধে নিহত সন্ত্রাসীদের সহযোগীরা রেহায় পাবে না। তাদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে, পিরোজপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ডাবলু হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাদের নিহতের খবরে তিনি সকাল থেকেই এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইকবাল বাহার চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, কাননের বিরুদ্ধে একটি হত্যাসহ পাঁচটি, সোহাগের বিরুদ্ধে হত্যাসহ দুইটি ও সাদ্দাম হোসেনের নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সদর থানার ওসি সৈয়দ ইকবাল বাহার চৌধুরীসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।