বিষয়টি জানিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করতে গিয়েছিলেন শাহরিয়ার কবির।
তবে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কোনও পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি।
শাহরিয়ার কবির জানান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনী হিসেবে যোগ দেওযা ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্বজনদের অর্থ দিতে মানা করে নয়াদিল্লি বলেছে, ঘটনার ৪৬ বছর পর দেড় হাজারেরও বেশি ভারতীয় শহীদ সেনার উত্তরাধিকারের মাঝে অর্থ বণ্টনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত সফর কালে এ শহীদ ভারতীয় সেনাদের প্রতি সম্মাননা জানানোর অংশ হিসেবে তাদের স্বজনদের হাতে অর্থ তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ১ হাজার ৬৬৮ ভারতীয় সৈন্যকে সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ। তাদের প্রত্যেকের স্বজনদের হাতে ক্রেস্ট ও পাঁচ লাখ ভারতীয় রুপি সমপরিমাণ অর্থ তুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়। সম্মাননার মোট অংক দাঁড়াবে একশ’ কোটি রুপি।
শাহরিয়ার কবির বলেন, আমরা জেনেছি, প্রায় ৪৬ বছর পর শহীদ সেনাদের প্রকৃত উত্তরাধিকার খুঁজে অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে গোলমাল বেঁধে যেতে পারে। তাই ভারত শুধু সম্মাননা ক্রেস্ট দিতে বলেছে স্বজনদের।
বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল পক্ষ থেকে নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চলছে। জানা গেলেই তা বাংলানিউজের পাঠকদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
সূত্র মতে, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহের ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের শহীদ সাত সেনার পরিবারের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেবেন এমন কর্মসূচি চূড়ান্ত রয়েছে। সে অনুযায়ী সুবিধাজনক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনের কর্মকর্তারা অন্যান্য অনুষ্ঠানে বাকিদের সম্মাননা পৌঁছে দেবেন।
এরইমধ্যে সেদেশের সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয়দের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকেই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ১ হাজার ৬৬৮ জন ভারতীয় সেনার নাম পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
কেজেড/এইচএ/এমএমকে