পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে জানান, কোনো প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই হিমায়েতপুরের শ্রীশ্রী অনূকূল ঠাকুরের কর্মী দাবী করে রোববার (১২ মার্চ) রাতে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ভেঙে জায়গাটি দখল নেয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে শহরজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের পাশ্ববর্তী শ্রীশ্রী ঠাকুর অনূকূল চন্দ্র সেবাশ্রমের সৎসঙ্গ কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের অভ্যন্তরের ১৫ শতাংশ জায়গা ঠাকুরের জন্মস্থান দাবি করে দখল নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। এর জের ধরে রোববার রাতে কয়েক শত লোক নিয়ে অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর ভেঙে হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তারা লাঠি বাঁশ ও ইটের স্থায়ী স্থাপনা তৈরীর চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা তাদরে বাধার মুখে তারা পিছু হঠে। পরে রোববার অনূকূল ঠাকুরের ১২৯তম আবির্ভাব দিবসকে কেন্দ্র করে ওই সেবা আশ্রমে জমা হওয়া হাজার হাজার লোকজনকে নিয়ে তারা অবৈধভাবে এই জায়গা দখল নেয়।
তিনি বলেন, আইনানুযায়ী আশ্রম কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের জায়গাটি পেলে ফিরিয়ে দিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে চর দখলের মতো জায়গা দখল করাটা মোটেও আইনসিদ্ধ নয়।
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনূকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ সেবাশ্রমের সভাপতি শ্রী বিমল রায় চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, এই জায়গাটি নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলছিল। মামলার রায় পাওয়ার পর জায়গাটি দখল নেওয়া হয়েছে। সেখানে আমাদের কর্মীরা কাজ করতে গেলে পুলিশ তাদের বের করে দেয়। ভূমিমন্ত্রীর স্ত্রী এসে এই জায়গাটি আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন বলেও দাবী করেন তিনি। তবে মামলার রায় এবং জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
এনটি