বুধবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সেলিব্রেটিং উইম্যান অ্যাট ওয়ার্ক’ এর উন্মুক্ত আলোচনায় বাংলাদেশে নারীদের বিজয় এবং অবদান নিয়ে এসব কথা বলেন বক্তারা।
প্যানেল আলোচনায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, আমাদের সবার কাছেই নারীর একটি রূপ আছে।
নিজের মা এবং স্ত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দেশে নারীর যেমন সনাতনী রূপ রয়েছে, সেখান থেকে আধুনিক উদ্যোক্তা রূপও আমরা দেখি। এখানকার নারীরা যেকোননো দেশের নারীদের সঙ্গে ফাইট করে এগিয়ে থাকবে। এরপরও যেসব কূপমণ্ডুকতা সমাজে এখনও রয়েছে, সেগুলো দূর করতে হবে।
শহরে নারীদের চলাচল এবং নিরাপত্তা সিটি কর্পোরেশনের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যেগের কথা তুলে ধরেন ঢাকা উত্তরের মেয়র।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, নারী বা পুরুষ কার চেয়ে কার দক্ষতা বেশি, সেই তুলনার চেয়ে আমাদের সবাইকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
আইসিটি খাতে যেকোনো প্রশিক্ষণে এবং প্রোগ্রামে ৩০ শতাংশ নারী কোটা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশ যখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে, তখন নারী ও পুরুষের সমতা থাকবে ৫০ শতাংশ।
প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশ বা আমেরিকার নারীদের সংগ্রামের ধরন একই বলে মন্তব্য করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট।
তিনি বলেন, দু’টি দেশেই মেয়েরা সংগ্রাম করে চলেছেন। তবে স্বাধীনতার ৪৬ বছরে এসে বাংলাদেশের নারীদের অগ্রগতি অনেক। আমি দুনিয়ার কোথাও নারী দিবসের এত আয়োজন দেখিনি। এতো নারীর অংশ নেওয়া দেখিনি। এবার আমার ১২তম আয়োজনে অংশ নেওয়া।
প্যানেল আলোচনায় আরও অংশ নেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তফা জব্বার এবং উইম্যান ওয়ার্ল্ডের ফারহানা এইচ রহমান।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি ও বেসিস উইম্যান ফোরাম। আয়োজনে বিভিন্ন সেক্টরের সফল ও কর্মরত পাঁচ শতাধিক নারী অংশ নেন।
আলোচনা শেষে বিভিন্ন খাতে সফল ২৬ জন নারীকে উত্তরীয় ও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
** বাংলাদেশের নারীরা অনেক এগিয়ে
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
এমএন/এমজেএফ