বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৭টায় ডাউকি নদীর তীরবর্তী জাফলংয়ের ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আতাই মিয়ার ভাই মাতাই মিয়ার পাথর কোয়ারিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার এলাকার মেখই মিয়ার ছেলে আকরাম হোসেন (৩৫) ও একই এলাকার আব্দুল হানিফের ছেলে লেছু মিয়া (২৫)।
স্থানীয়রা জানান, ভোরবেলা মাতাই মিয়ার কোয়ারিতে গর্তে পাথর উত্তোলনকালে পাথর চাপায় শ্রমিক আকরাম ও লেছু মিয়া নিহত হন। আহত দু’জনকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গোয়ানঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, চোরাইভাবে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে চার শ্রমিকের দু’জন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ তিনি ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন বলেও জানান ওসি।
এর আগে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে পাথর কোয়ারি ধসের চারটি ঘটনায় নিহত হন মোট ১১ জন শ্রমিক। এর মধ্যে ১৯ ফেব্রুয়ারি জাফলংয়ের সংগ্রামপুঞ্জি পাথর কোয়ারি ধসে কামরুজ্জামান ও তাজ উদ্দিন নামে দুই শ্রমিক নিহত হন।
১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শাহ আরেফিন টিলার উত্তরটিলায় পাথর কোয়ারি ধসে নিহত হন আনিছ (৪৫) নামে এক শ্রমিক। আহত হন আরও তিনজন।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বিছনাকান্দিতে পাথর উত্তোলনকালে কোয়ারি ধসে তিন শ্রমিক নিহত হন। তারা হলেন- সুনামগঞ্জ সদরের গুলেরগাঁওয়ের জাকির হোসেন (২০) ও তোলা মিয়া (২৫) এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি এলাকার পরিমল (৩২)। পরে তাদের মরদেহ গুমের চেষ্টা করেন পাথর কোয়ারির মালিকরা।
এছাড়া ২৩ জানুয়ারি সকালে কোম্পানিগঞ্জের আরফিন টিলার আঞ্জু মিয়ার কোয়ারিতে পাথর উত্তোলনে গর্তে নামেন ১৩ শ্রমিক। তাদের মধ্যে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কোয়ারি মালিক আঞ্জুসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
এনইউ/এএসআর