তাড়াহুড়ো করে স্ত্রীকে নিয়ে হাতের সামনে যা পেলেন তাই ফেললেন ঘরের সামনের চৌবাচ্চায়। সহায়তা করেন পুত্রবধূ।
দুলাল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, কি করুম কন? মাথায় কিছু কুলায় নাই। খালি এতটুকু বুঝছি, মেলা বড় আগুন লাগছে। আর হাতের সামনে যা কিছু পাইছি তাই ফালাইছি এই চৌবাচ্চায়। আসবাবপত্র আর পোলার বই-ই বেশি ফালাইছি, পলিথিনে প্যাঁচাইয়া কিছু টাকা।
‘দেখতেই তো পাইতাছেন, যা ফালাইছি তাই বাঁচছে’ বলেই তিনি ঘরের ধ্বংসস্তূপ থেকে আর কি কি নেওয়া যায় তা দেখছেন। স্ত্রী ও পুত্রবধূ ব্যস্ত চৌবাচ্চা থেকে ওঠানো জিনিসপত্র রোদে শুকাতে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এরকম উপস্থিত বুদ্ধি তাদের শেষ সম্বল বাঁচাতে সাহায্য করেছে।
ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীর কড়াইল বস্তির বেশিরভাগ অংশ পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের কর্মীদের চেষ্টায় মধ্যরাতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল পৌনে ৮টায়।
এখনও অগ্নিকাণ্ডস্থলের পুরো এলাকাজুড়ে থেমে থেমে বের হচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলি। পোড়া গন্ধে ভারি হয়ে উঠেছে বস্তির পরিবেশ।
বস্তির বউবাজার থেকে জামাই বাজার ও আরেকপাশে বউবাজার থেকে বাদলের নৌকাঘাট পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়েছে সব ঘর। স্থানীয়রা বলছেন, এ বস্তিতে যতোবার আগুন লেগেছে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল এবারের আগুন। এবার ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
জেডএস