বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অস্বাভাবিকভাবে মামলা নিষ্পত্তি, গুরুতর অপরাধ মামলার আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়ার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট বিচারক ফারুক আহম্মেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় কমিশনের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায়ের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটিকে। যতন কুমার অবসরে গেলে অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান মির্জা জাহিদুল আলম।
প্রণব কুমার জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক বিচারক ফারুক আহম্মেদকে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
অভিযোগ মতে, ফারুক আহম্মেদ অবসরে যাওয়ার আগে মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন চোরাচালান মামলায় অস্বাভাবিক গতিতে বিচারকাজ শেষ করেন। বহুসংখ্যক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়ার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন তিনি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিচারক ফারুক আহম্মেদ যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও সীমান্ত চেকপোস্টসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয় দুদক। দায়িত্ব পেয়েই তৎকালীন উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় এ চিঠিটি দিয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
এসজে/আরআর/এইচএ/