কড়াইল বস্তির কুমিল্লাপট্টির তালতলায় দেখা গেলো আইমনা বেগমকে। গতকালই ১০ কেজি চাল এনেছিলেন তিনি।
একই সঙ্গে তিনি পুড়ে যাওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের মাঝে খুঁজে চলেছেন লোহা লক্কড়, স্ক্রু, পেরেক, পুড়ে যাওয়া লোহার র্যাক, আলনা, পাতিলের অবশিষ্টাংশ।
পটুয়াখালীর লোহালিয়ায় বাড়ি আইমনা বেগমের। স্বামী তাকে ত্যাগ করেছে আগেই। এক সন্তান সাদ্দামকে নিয়ে ৩ বছর হলো কড়াইল বস্তিই তার ঠিকানা। ১২ বছরের সাদ্দাম লেগুনার হেলপারের কাজ করে। তিনি নিজেও গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে কাজ করেন গৃহপরিচারিকা হিসেবে। সেখান থেকেই গতকাল ৫ হাজার টাকা বেতন পেয়েছিলেন তিনি।
আইমনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সব পুইড়া গেছে ভাই। কিছুই নিয়া বাইর হইতে পারিনি ঘর থেকে। তয় আল্লার কাছে হাজার শোকর, পুতেরে লইয়া জান নিয়া বাইর হইতে পারছি। নগদ টাহা, চাইল, ডাইল, তেল, নুন, সাবান, সোডা, লেপ, তোষক সব গেছে ভাই। ’
তিনি বলেন, ‘এখন ছাইয়ের মইধ্যে কিছু পাওয়া যায় কিনা খুঁজতাছি। আধ পোড়া লোহা লক্কড়, লোহা, পেরেক কিছু পাইলে বেইচা কিছু পাওয়া যাবে। পোড়া চাইলের মধ্যে কিছু ভালো যদি থাকে!
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
আরএম/আরআই