বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঘোড়াশাল রেলস্টেশন চালুর মাধ্যমে আরও ৫৯টি স্টেশন উদ্বোধনের ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী।
মন্ত্রী এ সময় তার বক্তব্যে বলেন, দেশে রেলপথের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বহু প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
৮ থেকে ৯ বছর থেকে বন্ধ ঘোড়াশাল স্টেশনে এখন থেকে ডেমু ও মেইল ট্রেনের স্টপেজ চালুর ঘোষণাও দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী দেশের সকল বন্ধ রেলস্টেশন আগামী ৬ মাসের মধ্যে চালু করে দেয়ার কথা জানিয়ে বলেন, দেশে কোন রেলস্টেশন আর বন্ধ থাকবে না। এখন ৬০টি বন্ধ স্টেশন পুরোদমে চালু করা হলে। আগামী ৬ মাস লাগবে বাকি বন্ধ রেলস্টেশনগুলো চালু করতে।
তিনি বলেন, রেলের আগে বাজেট ছিলো ৫০০ কোটি টাকা। চলতি বছরে প্রধানমন্ত্রী রেলপথের উন্নয়নে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এ কারণে রেলে বহু উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কারণে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা শিক্ষা অর্থনীতিসহ সব সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। আরও উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদ আরও এক বছর নয় মাস বাকি আছে। এ সময়ের মধ্যে চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, কামরুল আশরাফ খান এমপি, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সিরাজুল হক মুন্না এমপি, সাবেক এমপি আনায়ারুল আশরাফ খান ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল হাই।
অনুষ্ঠানে ঘোড়াশালসহ ঢাকা বিভাগের ২১টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২টি, পাকশী ২৩টি ও লালমনিরহাটের ৪টি স্টেশন একযোগে চালুর ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী।
রেলওয়ের ক্যাটাগরি অনুয়ায়ী সবগুলো স্টেশনই ‘বি’ শ্রেণীর।
ঢাকা বিভাগে যে ২১টি স্টেশন চালু হলো সেগুলো হচ্ছে টঙ্গী-ভৈরব সেকশনের ঘোড়াশাল, আমীরগঞ্জ, শ্রীনিধি। টঙ্গী-ময়মনসিংহ সেকশনের ভাওয়াল গাজীপুর, সাতখামাইর, ধলা, উমেদনগর।
ময়মনসিংহ, জামালপুর সেকশনের পিয়ারপুর। জামালপুর-ময়মনসিংহ সেকশনের কেন্দুয়াবাজার, ভুয়াপুর। ময়মনসিংহ ভৈরব বাজার সেকশনের মধ্যে বিসকা, সোহাগী, নান্দাইল রোড, কালিকাপ্রসাদ। শ্যামগঞ্জ মোহনগঞ্জ সেকশনের ঠাকুরকোনা, বারহাট্টা। আখাউড়া শায়েস্তাগঞ্জ সেকশনের মধ্যে শাহাজীবাজার, মুকুন্দপুর। শায়েস্তাগঞ্জ-সিলেট সেকশনের মধ্যে সাতগাঁও, লংলা ও বরমচাল স্টেশন।
আর চট্টগ্রাম বিভাগের যে ১২টি স্টেশন চালু হলো সেগুলো হচ্ছে, চট্টগ্রাম-লাকসাম সেকশনের মুহুরীগঞ্জ, ফাজিলপুর, শর্শদী, নাওটী। লাকসাম-আখাউড়া সেকশনের মধ্যে ময়নামতি। লাকসাম নোয়াখালী সেকশনের মধ্যে দৌলতগঞ্জ, খিলা, নাথেরপেটুয়া, বজরা। লাকসাম-চাঁদপুর সেকশনের মধ্যে শাহাতলী। চট্টগ্রাম-নাজিরহাট সেকশনের মধ্যে সরকারহাট ও ঝাউতলা।
পাকশী বিভাগের যে ২৩টি স্টেশন চালু হলো সেগুলো হচ্ছে, খুলনা-দর্শনা সেকশনের ফুলতলা, রূপদিয়া, মেহেরুল্লানগর, সফদারপুর ও আনসারবাড়ীয়া। দর্শনা-ঈশ্বরদী সেকশনের মধ্যে মিরপুর ও পাকশী। ঈশ্বরদী-সান্তাহার সেকশনের মধ্যে আজিমনগর, মাধনগর ও রানীনগর। সান্তাহার-পার্বতীপুর সেকশনের মধ্যে হিলি ও ভবানীপুর। পার্বতীপুর-চিলাহাটি সেকশনের মধ্যে ডোমার রেলস্টেশন। আব্দুলপুর-চাঁপাই সেকশনে কাঁকনহাট।
আমনুরা-রহনপুর সেকশনে নাচোল। যশোর বেনাপোল সেকশনের মধ্যে বেনাপোল। পোড়াদহ-গোয়ালন্দঘাট সেকশনের মধ্যে কুমারখালী, খোকসা, পাংশা ও পাঁচুরিয়া জংশন।
পাচুরিয়া-ফরিদপুর সেকশনে মধ্যে আমিরাবাদ ও ফরিদপুর। কালুখালি-ভাটিয়াপাড়া সেকশনের মধ্যে মধুখালী জংশন।
রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের যে ৪টি স্টেশন চালু হলো সেগুলো জচ্ছে সান্তাহার-বোনারপাড়া সেকশনের মধ্যে আলতাফনগর, ভেলুরপাড়া ও মহিমাগঞ্জ।
এছাড়া লালমনিরহাট-বুড়িমারী সেকশনের মধ্যে আদিতমারী ও অন্নদানগর স্টেশন দু’টি আগামী ১৬ মার্চ থেকে চালু করা হবে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৬ ,২০১৭
এসএ/আরআর/আরআই