এ দাবি বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে হামলায় আহত হয়ে মৃত্যুর শিকার নারী ব্যাংক কর্মকর্তা আরিফার বড় ভাই আল আমিন বুলবুলের। তবে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি।
বোনের মৃত্যুর সংবাদ শুনে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ছুটে আসেন বড় ভাই আল আমিন বুলবুলসহ পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় আল আমিন বলেন, ইডেনে পড়াকালে আমাদের দেশের বাড়ির রবিন নামে এক ছেলের সঙ্গে আরিফার প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর তারা নিজেরাই বিয়ে করে। দুই মাস সংসার করার পর আরিফার উপর নির্যাতন শুরু করে রবিন। এরপর আমরা আরিফার মাধ্যমে জানতে পারলাম রবিন মাদকাসক্ত।
দিনে দিনে আরিফার উপর নির্যাতন বেড়েই চলে। এরপর আরিফা নির্যাতন সয্য করতে না পেরে নিজেই ডিভোর্স নিতে বাধ্য হয়। গত ৩/৪ মাস আগে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেয়। এরপর থেকে মা আফিফা জামানকে নিয়ে সেন্ট্রাল রোডে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করে আরিফা। আমাদের বলে, আর পেছনে তাকাবো না। অফিস আর বাসা, তোমাদের নিয়েই ব্যস্ত থাকবো।
ভাই বুলবুল বলতে থাকেন, এরপরও অফিসে যাওয়ার সময় বিভিন্নভাবে আরিফার পথ রোধ করতো রবিন। হুমকি দিতো। নিরাপত্তার জন্য তাই থানায় জিডিও করে আমার বোন।
তবে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত বাংলানিউজকে বলেন, আরিফা খুন হওয়ার স্থানটির সিসি ক্যামেরা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, আরিফা ও রবিন কিছু মালামাল নিয়ে বাসায় ডুকছে ও বের হচ্ছে। আমাদের ধারণা, বিয়ে বিচ্ছেদের পর তাদের ভেতর ফের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সিসি ক্যামেরা দেখে এমনটিই মনে হচ্ছে।
ওসি বলেন, বাসার সিঁড়ির সামনেই রবিন তাকে হত্যা করেছে। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রবিনকে আটকের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
জীবনের নিরাপত্তার জন্য আরিফা থানায় জিডি করেছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, কবে কখন করেছে বিষয়টি আমরা দেখছি।
**রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে নারীর ওপর হামলা
**রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে হামলায় আহত নারীর মৃত্যু
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
জেডএম/