বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার দমদম বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক পাচারকারীরা হলেন- নেয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলায়ারপুর গ্রামের গোলাম কবিরের ছেলে সাকেরুল কবির ওরফে ইকবাল, নারায়াণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার বারদি গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে মাহমুদুল হাসান ওরফে সুমন, ঢাকার শাহাজনপুর থানার শান্তিবাগ এলাকার আক্তারী কামালের ছেলে হাবিবুল্লাহ, শরিয়তপুর জেলার ডামুডা থানার কানাইকাটি গ্রামের লালচান মিয়ার ছেলে আক্কাজ আলী বাবু ও দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন।
উদ্ধার হওয়া তিন তরুণীর বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িরচং থানার জগৎপুর, ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার চরকৃষ্ণজয় ও একই থানার মির্জাপুর গ্রামে।
উদ্ধার হওয়া তরুণীরা জানান, তারা তিনজনই চট্টগ্রামের ফোর এস গার্মেন্টে চাকরি করতেন। দুই মাস আগে পাচারকারী ইকবাল ও সুমনের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে পাচারকারীরা তাদের তিনজনকে ওমানে নিয়ে বেশি বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। পরে মাথাপিছু ৪০ হাজার করে টাকা নিয়ে গত ১৫ মার্চ রাতে যশোর বিমান বন্দর দিয়ে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আসতে বলে। যশোরে আসার পর পাচারকারীরা তাদের কলারোয়া সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে। বিষয়টি নিয়ে তাদের সন্দেহ হলে কলারোয়া উপজেলার দমদম বাজারে তরুণীরা চিৎকার করলে স্থানীয় জনতা তাদের উদ্ধার ও পাচারকারীদের আটক করে পুলিশে হাতে তুলে দেয়।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া এক তরুণী বাদী হয়ে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। উদ্ধার হওয়া তিন তরুণীকে সেন্টার ফর ইউমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্ট্যাডিজ নামের একটি সংস্থার হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
এনটি