শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি রুটের বাসে সরেজমিনে দেখা গেল বাড়তি ভাড়া নেয়ার এই প্রবণতা। ভুক্তভোগীরা জানান, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে পরিবারের সদস্যদের দিয়ে ঘুরতে বের হন অনেকে।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণ জানতে চাইলে তুরাগ পরিবহনের কন্ডাক্টর সুমন বলেন, ছুটির দিনে কম যাত্রী থাকায় ভাড়া একটু বেশি নিতে হচ্ছে। তাছাড়া আমরা সবার কাছে দুই পাঁচ টাকা চেয়ে নিচ্ছি। মামারা (যাত্রী) খুশি হয়েই দেন। আমরাতো আর ছিনতাই করছি না। ‘
মালিবাগ থেকে উত্তরাগামী তুরাগ পরিবহনের যাত্রী শামীম বাংলানিউজকে বলেন,‘খুশি হয়ে টাকা বেশি দেবে এমন পাগল কেউ এখনও হয়নি। তারা বাড়তি টাকার জন্য চার্জ করে। তাই অনেকটাই বাধ্য হয়ে দিতে হয় বাড়তি ভাড়া। আজকে বেশি নিচ্ছে, অন্য দিন কম রাখে তা কিন্তু নয়। স্বাভাবিক ভাড়ার তুলনায় তারা এমনিতেই দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে। আর ছুটির দিনে আরো ৫ থেকে ১০ টাকা ভাড়া বেশি নেই।
এদিকে মেয়াদোত্তীর্ণ বাস চলাচল বন্ধ ও বাড়তি ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে কর্তৃপক্ষ। অথচ এখনও রাজধানীতে চলা গণপরিবহনের অধিকাংশ চালকেরই নেই লাইসেন্স।
তুরাগ সার্ভিসের সুপারভাইজার ইউসুফ দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এই সেক্টরে কর্মরত আছে। এই বাসের ড্রাইভারের লাইসেন্স আছে কি না জানতে চাইলে স্বীকার করলেন যে ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই। ড্রাইভার ৫ বছর আগে হেলপার ছিল। এখন সে ড্রাইভার। বয়স না হওয়ায় লাইসেন্স দেয়নি বিআরটিএ। তাই বাধ্য হয়ে তাকে নকল লাইসেন্স বানাতে হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
এএম/আরআই