ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর আলোচনার শেষ নেই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
বঙ্গবন্ধুর আলোচনার শেষ নেই বক্তব্য দিচ্ছেন সৈয়দ বদরুল আহসান-ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর জীবনীকার সৈয়দ বদরুল আহসান বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত নেতা ছিলেন। যে কারণে তিনি কখনও বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে উঠেন নি বা স্বাধীনতার একতরফা ঘোষণাও (ইউডিআই) করেননি।

তিনি নিয়মতান্ত্রিক ছিলেন ও সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা করতেন। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান, চীন ও সৌদি আরবের বিরোধী ভূমিকার পরও তাদের সঙ্গে পরে সম্পর্ক গড়েছেন।

এ কারণে বঙ্গবন্ধুর আলোচনার শেষ নেই। এ আলোচনা চলছে এবং চলতেই থাকবে।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে বাংলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস উপলক্ষে  ‘বঙ্গবন্ধু: ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন সৈয়দ বদরুল আহসান।

তিনি জাতির জনকের জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু খুব সাধারণ মানুষ ছিলেন। তবে তার গুণ ছিলো অসাধারণ। যেমন ২৫ বা ৩০ বছর আগের দেখা কোনো লোকের চেহারা এবং নাম মনে রাখতে পারতেন।

আর তার রাজনৈতিক জীবন এতোই ব্যাপক যে সেটা এখনও আলোচনা করছি এবং করে যেতেই হবে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা একতরফা ঘোষণা করেন নি।

যেটা তিনি করতে পারতেন, সেই সুযোগ তার ছিলো। তিনি নির্বাচিত নেতা ছিলেন। তিনি মনে করতেন আমি সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের নেতা আত্মগোপন বা পালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। এ কারণে জেলে গিয়েছিলেন, ভারত যাননি। তবে তখন তাকে অনেককেই পরামর্শ দিয়েছেন ভারতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করতে।

বঙ্গবন্ধুর সূদূর প্রসারী চিন্তার কথা উল্লেখ করে বদরুল আহসান বলেন, সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয়- বাংলাদেশের এই নীতি বঙ্গবন্ধু চালু করেছিলেন।

যে কারণে আমরা দেখি যে চীন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো এবং বাংলাদেশের সদস্য পদের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে দুইবার ভেটো দিয়েছিল তারপরও চীনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য দেননি বঙ্গবন্ধু।

সৌদি আরব মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেয়নি, তারপরও তিনি তাদের সাথে সম্পর্ক খারাপ করেননি। কারণ বঙ্গবন্ধু জানতেন একসময় সম্পর্ক ভালো হবে এসব দেশের সঙ্গে।

তিনি স্বাধীন দেশের নেতা-এবং স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রধান ভাবতেন বলেই স্বাধনতার পরে ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানে ওআইসি সম্মেলনে গিয়েছিলেন।

ওই সময় অনেকে তাকে ভারত চলে যাওয়ার জন্য বললেও তা আমলে নেন নি বঙ্গবন্ধু। তিনি আপোষহীন মনোভাবের ছিলেন।

একক বক্তৃতা দেন ও অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ওপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক শিশু রং তুলিতে ফুটিয়ে তুলে জাতির জনককে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
এসএ/এসএম/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।