ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সংরক্ষিত হবে ৪০ হাজার শহীদের সমাধিস্থল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
সংরক্ষিত হবে ৪০ হাজার শহীদের সমাধিস্থল ছবি: শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সমাধিস্থল

ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পর্যায়ক্রমে ৪০ হাজার শহীদ ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা হবে।  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় এ উদ্যোগ দেশজুড়ে বাস্তবায়ন করবে গণপূর্ত অধিদফতর।

এ পর্যন্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের যে সকল সমাধিস্থল চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলো দ্রুততম সময়ে সংরক্ষণ করা হবে।   অন্য সমাধিস্থলগুলো চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি তালিকা তৈরি করে সংরক্ষিত হবে।


 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ‘শহীদ ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার সমাধিস্থল সংরক্ষণ করা হবে।   চলতি সময় থেকে ২০১৯ সালের জুন মেয়াদে প্রায় ৩৪৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।   পর্যায়ক্রমে সারা দেশে খুঁজে বের করে  আরও ২০ হাজারসহ সমাধিস্থলের সংখ্যা ৪০ হাজারে উন্নীত হবে।
 
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০ হাজার শহীদের সমাধিস্থলও এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। সরকারি গেজেটভুক্ত ২ হাজার ৯৬৩ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সমাধিস্থল চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।   জরুরি ভিত্তিতে সেগুলোর সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করতে নকশা অনুসারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

আর প্রকল্পের কাজ শুরু হলে প্রথম পর্যায়ের ২০ হাজার সমাধি চিহ্নিত করা হবে।   এ লক্ষ্যে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) , স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ইউনিটকে শহীদদের সমাধিস্থল খুঁজে বের করারও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।  

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে সারাদেশের ৪০ হাজার শহীদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ করবো।   চলমান প্রক্রিয়ার মতো এ প্রকল্পের কাজ চলবে। যেখানে যখন মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি খুঁজে পাবো, সেখানেই সংরক্ষণের উদ্যোগ নেবো। তবে সমাধিস্থলগুলো খুঁজে বের করা আমাদের জন্য একটু কঠিন হবে।   ইতোমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ইউনিটকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছি’।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।